জুমবাংলা ডেস্ক : ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট মিলে টানা ১৭ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত গাজী টায়ার কারখানার আগুন। রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনে এখনও দাউ দাউ করে পুড়ছে কারখানাটি।
এদিকে আগুনের ঘটনায় স্বজনদের দাবির ভিত্তিতে নিখোঁজের তালিকা করছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নিখোঁজের তালিকায় ১৮৭ জনের নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে স্থানীয়দের মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন, ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট।
এদিকে ভবনটির ভেতরে ৩শ থেকে ৪শ’র মতো লোক আটকা পড়ে আছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন। তারা জানান, রোববার বিকেল ৩টার দিকে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ’র মতো লোক লুটপাটের জন্য গাজী টায়ারের ওই কারখানায় ঢুকে ভাঙচুর করতে থাকেন। এরপর রাত ১০টার দিকে লুটপাটের সময় আগুনের সূত্রপাত হয়।
গাজী টায়ারসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, আগুন লাগা ওই ভবনে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল মজুদ ছিল।
আগুনে আটকে পড়া নিখোঁজ লোকদের পরিবার-পরিজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে কারখানা এলাকা। এ সময় তাদের দাবির ভিত্তিতে নিখোঁজের তালিকা শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এদিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি। এতে আশপাশের এলাকায় শিল্প কারখানা ও বাড়িঘরের লোকজনের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও কাজ করছে।
ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কতক্ষণ লাগবে, এটা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।