১ কেজি পেঁয়াজ ৮-৯ টাকা! পানির দরে যেখানে বিক্রি হচ্ছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লাভের আশায় চাষ করেছিলেন। কিন্তু নতুন ওঠা সেই পেঁয়াজের দাম নেই। ফলে চিন্তায় পড়েছেন ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার পেঁয়াজ চাষিরা। অনেকে আবার বাজার ভাল না থাকায় উৎপাদিত পেঁয়াজ বাড়িতে মজুত করছেন। তাঁরা বলছেন, সব পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া অনেকেরই পেঁয়াজ মজুত করে রাখার মতো পরিকাঠামো নেই। ফলে কম দামেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আট-ন’ টাকায়। ফলন ভাল হলেও দাম না থাকায় লোকসানের মুখে চাষিরা।
কৃষকরা বলছেন, সারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে চাষের খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ইউরিয়া ছাড়া বাকি সার এক হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কীটনাশক থেকে সব খরচ। পেঁয়াজের ফলন ভাল হলেও দাম না থাকায় লোকসান হচ্ছে।
কালনা মহকুমা জুড়ে ধান, আলুর পরই ব্যাপক ভাবে পেঁয়াজ চাষ হয়। অনেকেই ধান আলুতে লাভের মুখ দেখতে না পেয়ে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় পেঁয়াজ চাষে তেমন সমস্যা হয়নি। ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। কিন্তু বিক্রি করার সময় দাম না মেলায় হতাশ কৃষকরা।
তাঁরা বলছেন, এ রাজ্যে যে পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় সারা বছরের চাহিদার তুলনায় তা অনেক কম। তবুও বিপণন ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় সেভাবে দাম মিলছে না। পেঁয়াজের দাম না থাকার বিষয়টি তাঁরা এলাকার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জানিয়েছেন। সুফল বাংলার স্টলের মাধ্যমে উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রির ব্যাপারে তিনি উদ্যোগী হবেন বলে কৃষকদের আশ্বাস দিয়েছেন।
গত বছর ভারতের কালনা মহকুমায় সাড়ে সাতশো হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছিল। কালনা-২ ও ১ ব্লকে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিগত বছরগুলিতে লাভের মুখ দেখেননি পেঁয়াজ চাষিরা। এবার গতবারের থেকে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়েছে মহকুমা জুড়ে। আটশো হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকুল থাকায় পেঁয়াজের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম উঠছে না। এক মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশো টাকায়। বিঘে প্রতি পেঁয়াজের দাম মিলছে আঠাশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা। চাষে বিঘে প্রতি খরচ হয়েছে বত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। ফলে পেঁয়াজ লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। চাষিদের আক্ষেপ, এলাকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। থাকলে পরবর্তীতে লাভের মুখ দেখা যেত।
সূত্র: নিউজ ১৮
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।