আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘ রোববার বলেছে, এক দশক আগে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে সিরীয় অনেক বেশী সংখ্যক শিশুর অধিক সাহায্য প্রয়োজন। তবে তাদের জন্য অর্থায়ন “হ্রাস” পাচ্ছে।
জাতিসংঘ শিশু সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, “সিরিয়ার শিশুরা অনেক দিন ধরে কষ্ট করছে এবং তাদের এ কষ্টের অবসান হওয়া উচিত।”দেশের অভ্যন্তরে ও অন্যত্র পালিয়ে যাওয়া ১ কোটি ২৩ লাখ শিশুর জন্য সাহায্য প্রয়োজন। খবর এএফপি’র।
এতে আরো বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ৬৫ লাখের বেশি শিশুর সহায়তা প্রয়োজন। ২০১১ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মোকাবেলায় দমন শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ার যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান অ্যাডেল খোদর বলেছেন, সিরিয়ার অভ্যন্তরে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে শিশুদের জন্য সহায়তার প্রয়োজন বাড়ছে। ইউক্রেন সংকটের ফলে খাদ্য সহ নিত্য পণ্যের দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় অনেক পরিবার প্রয়োজন মেটাতে হিমশি খাচ্ছে। জাতিসংঘ বলেছে, শিশুরা সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির সম্মুখীন।
খোদর আরো বলেন, সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোতে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে প্রায় ৫৮ লাখ শিশু সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তাদের জীবন দারিদ্র্য ও কষ্টে পরিপূর্ণ। ইউনিসেফ বলেছে, তারা সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে নগদ অর্থের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে।
মানবিক ক্রিয়াকলাপের জন্য অর্থায়ন হ্রাস পাচ্ছে উল্লেখ করে খোদর বলেন, ইউনিসেফ চলতি বছরের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকেরও কম অর্থ পেয়েছে।
ইউনিসেফ সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ শিশুর জন্য “ক্রস বর্ডার অপারেশন” পরিচালানার জন্য ২ কোটি ডলার চেয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।