জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, এক হাজার টাকা কৃষিঋণের কারণে কেউ জেলে যায়, আর ১০ হাজার কোটি টাকা শিল্পঋণের খেলাপি গ্রাহক সরকারের পাশে বসে। এখন যে যত বেশি শক্তিমান, সে তত বড় খেলাপি। তার সুদ মওকুফও হয় তত বেশি।
তিনি আরও বলেন, ২০০৩ সালে সুদ মওকুফ শুরু হয়। আমার কাছে ক্ষমতা থাকলে সুদ মওকুফ সুবিধা এখনই বন্ধ করে দিতাম। আর যখন শক্তিমান কেউ সরকারকে বোঝাতে পারবে, মূল্যস্ফীতি কমানোর উপায় খেলাপি ঋণ আদায় করা। এখন কে বোঝাবে, এটা একটা বিষয়। সরকার সেটা শুনলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এসব মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফে সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
এ সময় তিনি দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ, ব্যাংক একীভূত করা, টাকা ও ডলারের সংকট, বৈষম্য, মূল্যস্ফীতি, অর্থ পাচার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ব্যাংক একীভূত করা সব দেশেই হয়। জোর করে ব্যাংক একীভূত করা যাবে না। দুই পক্ষের সম্মতিতে এটা করতে হবে। কিন্তু খারাপ ব্যাংক ভালো করার এটাই একমাত্র উপায় না। এর বিকল্প আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় খেলাপি ঋণের পুনঃ পুনঃ পুনঃ তফসিলের কারণে ব্যাংক খাতে অর্থের টান পড়েছে। এ জন্য টাকা ছাপিয়ে বা ট্রেজারি বন্ডে দিতে হচ্ছে। এতে মূল্যস্ফীতি থেকে যাচ্ছে। যখন শক্তিমান কেউ সরকারকে বোঝাতে পারবে, মূল্যস্ফীতি কমানোর উপায় খেলাপি ঋণ আদায় করা। এখন কে বোঝাবে, এটা বিষয়। সরকার সেটা শুনলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।