জুমবাংলা ডেস্ক: ট্রেনের ২২০ টাকার টিকেট এক হাজার, চারশো ছাব্বিশ টাকার টিকেট ১২শ’ আর আটশ আট টাকার টিকেট বিক্রি হচ্ছে দুই হাজারে। মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকা রুটে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট এমন চড়াদামে বিক্রি চলছে কালোবাজারে। অভিযোগ রয়েছে, এর সাথে জড়িত রেলওয়ের সদস্যরা।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। এই ট্রেনে নেত্রকোণা জেলার মানুষের পাশাপাশি সুনামগঞ্জের চারটি উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু ঈদ শেষে ঢাকামুখী মানুষকে এমন অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। নিরুপায় যাত্রীরা দারস্থ হচ্ছেন কালোবাজারির। আর গুনতে হয়েছে টিকেটের মূল্য থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের অধিকাংশেরই টিকেট কালোবাজারিদের থেকে নেয়া। টিকেট না পেয়ে অনেকেই যাচ্ছেন ট্রেনের হাটার পথে বসে আবার অনেকেই টয়লেটের সামনে বসে। তাদেরও গুণতে হয়েছে মোটা অংকের টাকা। এছাড়াও, সকাল আটটায় একই স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় হাওর এক্সপ্রেসের নামের আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন।
এদিকে, কালোবাজারির কথা স্বীকার করে নিজের অসহায়ত্বের কথা বললেন মোহনগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আতাউর রহমান। তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে আমরা টিকেট বিক্রি করছি। কিন্তু এখান থেকে টিকেট নেয়ার পর যদি তা বাইরে বিক্রি করে দেয়, তাহলে আমার কিছু বলার নাই।
কয়েকজন যাত্রী জানান, টিকেটের দাম সাধারনত ৩০০ টাকা, কিন্তু এখন সেটা নিতে হচ্ছে এক হাজার টাকায়। শুধু ঢাকায় ফিরব বলে এই পরিস্থিতি মেনে নিতে হচ্ছে। এতো খারাপ অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।
ঈদ শেষে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে রাজধানীতে ফিরলেও সারাদেশেই ছিলো কালাবাজারীদের দৌরাত্ম। এমন অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে নিয়মিত নজরদারি ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান যাত্রীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।