জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহ নেই জানিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘৩০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিতে আসবে না। বাংলাদেশ আবারও ২০১৪ এবং ২০১৮ এর মতোই আরেকটি নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে।’
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘আরেকটি সাজানো নির্বাচন: কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক ঝুঁকি’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ৬০ শতাংশ মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। বাকি ৪০ শতাংশ মানুষ ডিভাইডেড যে, কী হবে; না হবে। আর নতুন ভোটাররা দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। তাই ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিতে আসবে না। কারণ নিজেদের মধ্যেও কোন্দল আছে। বাংলাদেশ আরেকটি নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে যেই নির্বাচনের রেজাল্ট আগের মতোই হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বলছে, ভোটাররা আসলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। ভোটাররা কীভাবে আসে সেটা ইতিমধ্যে দেখলাম। টাকা–পয়সা বিলি শুরু হয়ে গেছে। এমনও স্টেটমেন্ট আসছে, ভোট না দিলে তার সামাজিক নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হবে। নির্বাচনের দিন বাইরে লোক থাকতে হবে, ভেতরে যা হওয়ার হোক।’
নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখাতেই ‘ডামি’ প্রার্থী দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে সাবেক এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের দেশে ২০১৪,২০১৮ ও ২০২৪ সালে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটাকে অথোরিটারিয়ান না বলে হাইব্রিড ডেমোক্রেটিক রেজিম বলা যায়। গণতন্ত্রে বহুদলীয় অংশগ্রহণ আছে। সেটা দেখাতেই এবার ইউনিক একটা কাজ হচ্ছে, তা হলো, সরকারি দলেও ডামি প্রার্থী দিয়েছে যারা উইথড্র হবে না। তারা কনটেস্ট করবে। তার সঙ্গে কিছু কিছু পার্টি জয়েন হয়েছে। এটা হলো কনটেস্টের আবরণের মতো।’
অনুষ্ঠানে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব এম তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়। গণতন্ত্র মানে একটা সামাজিক সম্মতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এটা আমরা কখনোই দেখিনি। অনেকেই বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন সিন থেকে সরে গেছে। আমার সেটা মনে হয় না। তারা এখন খুব সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।’
পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ ফেলো মুবাশ্বার হাসান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক এবং কর্তৃত্ববাদী সব দেশেই নির্বাচন হয়। বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর নির্বাচনের মডেল বেছে নিয়েছে। এই নির্বাচন দেশকে একটা দীর্ঘমেয়াদি ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যাবে।’
সমাপনী বক্তব্যে রাজনীতি বিশ্লেষক ও কলামিস্ট জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘ধাপ্পা দিয়ে আসলে কিছু করা যাবে না। নিজেদের মধ্যে নির্বাচনটাও শান্তিপূর্ণ রাখা যাচ্ছে না। ২৮ তারিখের ঘটনার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন বলছে, প্রধান বিচারপতি, অন্যান্য বিচারক এবং সাংবাদিকদের ওপরে যে মুখোশধারীরা হামলা করেছে, ধারণা করা হয়, তারা সরকারি দলের লোকজন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।