লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য চমৎকার এক বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে ট্রাভেল গাইড ‘লোনলি প্ল্যানেট’ ।
তারা বলছে, দশ দেশের ১০ শহরে আগামী বছরে ভ্রমণ করা উচিত। কী কারণে সেই ১০ শহরে ২০২০ সালে যাওয়া উচিত জানিয়ে তালিকাও প্রকাশ করেছে তারা। চলুন দেখে নেই কোন কোন শহর রয়েছে সেই তালিকায়-
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি
আগামী বছর ওয়াশিংটনে নারীদের ভোটাধিকার প্রদানের শততম বার্ষিকী পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র। ৯৯ বছর আগে সংবিধানে ‘উনিশতম সংশোধনীর’ মাধ্যমে নারীদের ভোটাধিকার প্রদান করে দেশটি। এই উপলক্ষে অনেকগুলো বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ওয়াশিংটর। পাশাপাশি পর্যটকদের উদ্দেশ্যে শহরটির পুনরুজ্জীবিত ‘ওয়াটারফ্রন্ট’ আর বৈচিত্র্যময় খাবারের আয়োজন রয়েছে সেখানে, যা হবে মনমুগ্ধকর। আর এসব উপভোগ করতে পর্যটকদের ২০২০ সালে বিদেশ ভ্রমণের তালিকায় ওয়াশিংটনকে রাখা অবশ্যই উচিত বলে মনে করছে ট্রাভেল গাইড ‘লোনলি প্ল্যানেট’।
অস্ট্রিয়ার সালৎসবুর্গ
ট্রাভেল গাইড ‘লোনলি প্ল্যানেট’ ইউরোপের সুরের দেশ অস্ট্রিয়ার সালৎসবুর্গ শহরটিকে ‘হৃদয় চুরি করা এক আলপাইন শহর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আগামী বছর সেখানে সালৎসবুর্গ উৎসবের শতবর্ষ পূর্তি পালিত হবে৷ এ উপলক্ষে শহরটির ঐতিহাসিক কেন্দ্রে নানা প্রদর্শনী এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। দেশটির স্থানীয় সংস্কৃতি আর সুরের মূর্ছনায় মুখরিত হয়ে উঠবে সালৎসবুর্গ। আর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি উপভোগ করতে আগ্রহী এমন পর্যটকরা অবশ্যই সালৎসবুর্গ যাবেন বলে মনে করে ট্রাভেল গাইডটি।
মিসরের কায়রো
কায়রোকে জাদুঘরের শহর বলা হয়। পিরামিড আর প্রাচীন ঐতিহ্যের শহর কায়রো পর্যটকদের জন্য সবসময়ই আকর্ষণীয়। তবে এবার বিশেষ একটি কারণে কায়রোতে ঘুরে আসতে বলেছ ট্রাভেল গাইড লোনলি প্ল্যানেট। তারা জানিয়েছে, আগামী বছর কায়রোর বিখ্যাত ‘গ্রান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম’ পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আর সেখানে স্থায়ীভাবে রহস্যময়ী ফারাও রাজা তুতানখামুনের সমাধিস্থ ধন-সম্পদ প্রদর্শন করা হবে। জানা গেছে, মিশরের অন্যান্য শহর থেকে এই শহর এবং সংলগ্ন পিরামিডগুলো ভ্রমণ করাও সহজ হবে, কেননা সেখানে নতুন একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরও চালু করা হচ্ছে। তাই ২০২০ সালে কায়রো যে পর্যটকের আনাগোনায় মুখরিত থাকবে তা অনুমান করা যাচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই
কি না আছে বিশ্বের ধনী শহরের তালিকায় থাকা দুবাই শহের। এ শহরের বর্ণিল সব আয়োজন সবসময়ই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তবে ২০২০ সালে দুবাই সাজবে ভিন্ন রঙে। আগামী বছর দুবাইতে বেশি কয়েকটি বড় প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে। এর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে ছয়মাসব্যাপী এক বিশ্ব বাণিজ্যমেলা, যেখানে বিশ্বের ১৯০টি দেশ স্থায়িত্ব এবং গতিশীলতার নানা মডেল উপস্থাপন করবে। আর সেখান থেকে মাত্র দুই মাইল দূরে সমুদ্র উপকূলে এক কৃত্রিম দ্বীপে ইউরোপীয় থিমে তৈরি ফ্যান্টাসি রিসোর্টও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
আয়ারল্যান্ডের গ্যালওয়ে
বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্য ২০২০ সালের পুরোটাই রেখে দিয়েছে আয়ারল্যান্ডের গ্যালওয়ে শহর। ২০২০ সালে এই শহর হবে ইউরোপের একটি সাংস্কৃতিক রাজধানী। ফলে সারা বছরই সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হবে। তাই আগামী বছরে আয়ারল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা গ্যালওয়ে না গেলে বড় ভুলই করবেন। লোনলি প্ল্যানেটের ভাষায় ‘উজ্জ্বলভাবে বোহেমিয়ান’ শহর গ্যালওয়ে চমৎকার সব পানশালার জন্য বিখ্যাত। তাই এ শহর পর্যটকদের জন্য বিশেষ আর্কষণও।
জার্মানির বন
রাজধানীর মর্যাদা হারানোর পর বন অনেক মানুষের ভ্রমণের তালিকা থেকে হারিয়ে গেছে। তবে আগামী বছর শহরটির প্রতি মানুষের আগ্রহ আবারো বাড়বে। বনে জন্ম নেয়া সুরস্রষ্টা লুডভিগ ফান বেটোফেনের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী বড় করে পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। তবে, বেটোফোনের বাড়ি ঘুরে দেখা ছাড়াও রাইন নদীর পাড় ধরে ঘুরে বেড়াতেও পছন্দ করেন অনেক পর্যটক।
কানাডার ভ্যানকুভার
সমুদ্র এবং পাহাড়ের মাঝখানে থাকা ভ্যানকুভ্যার শহরও বেশ পরিবেশবান্ধব। গ্রিনপিসের জন্মস্থানে সাইকেল চালানো এবং হাঁটার জন্য রয়েছে বিস্তৃত সড়ক নেটওয়ার্ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।