অর্থনীতি ডেস্ক : ৫ কর্মক্ষেত্রে অটোমেশনের ফলে ২০৪১ সালের মধ্যে বিরুপ প্রভাব পড়বে দেশে। ওই সময় দেশের লাখ লাখ শ্রমিক চাকরি হারাবে। কেবল পোশাক খাতেই চাকরি হারাবে ৬০ শতাংশ শ্রমিক। সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ফিউচার স্কিলস রিকোয়ার্ড ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এ গবেষণা তুলে ধরেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য অতিরিক্ত সচিব রেজাউল করিম।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের পাঁচটি কর্মক্ষেত্রে অটোমেশনের বিরুপ প্রভাব সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। এতে তৈরি পোশাক, কৃষি ও খাদ্য, ফার্নিচার, পর্যটন ও হসপিটালিটি, চামড়া ও পাদুকাশিল্পে কর্মসংস্থানের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০৪১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের অনেক পদই বিলুপ্ত বা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। এর মধ্যে এক ও দুই সুচবিশিষ্ট লক মেশিন অপারেটর, ফ্লোর সুপারভাইজার, প্যাটার্ন মেকার, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, প্রডাকশন প্ল্যানার ও মার্চেন্ডাইজারের মতো পদগুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। ফলে তৈরি পোশাক খাতের এসব পদের বিপরীতে কারখানা মালিকদের জনবলের প্রয়োজন হবে না। এ পদগুলো রোবট বা অটোমেশনের দখলে চলে যাবে। তারা আরও নিখুঁতভাবে কাজগুলো করে দেবে মানুষের বদলে।
অবশ্য মেশিন ও রোবটের কাজের পর্যবেক্ষণ, মেরামত ও নতুন ডিজাইনের মেশিন এবং সফটওয়্যার তৈরির কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। এসব পদে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হবে।
অটোমেশনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে শ্রমঘন শিল্পে। প্রচলিত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো ক্রমেই অটোমেশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অনেক চাকরিই হুমকির মুখে পড়বে। উৎপাদন ও সেবা খাতে অটোমেশনের হার সবচেয়ে বেশি হবে। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে আগের তুলনায় বেশি হারে। অবশ্য আইটির ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে নতুন কিছু চাকরিক্ষেত্রও তৈরি হবে। এজন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বের করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।