জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ২০ বছর জেল খাটার পর স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার দায় থেকে খালাস পেলেন মৃত্যুদণ্ড পাওয়া শেখ জাহিদ।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায়ে তাকে মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।
স্ত্রী ও সন্তান হত্যার ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে জাহিদের মৃত্যুদণ্ড হয়, যা হাইকোর্টে বহাল থাকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে কারাগারে থেকে জেল আপিল করেন জাহিদ।
আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বিবিসিকে বলেন, ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানি হয়েছে। আপিল অ্যালাউ হয়েছে। এখন সে মুক্তি পাবে।
১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে ফকিরহাট থানার উত্তরপাড়া এলাকায় খুন হন রহিমা ও তার দেড় বছরের কন্যাশিশু রেশমা। এ ঘটনায় পরদিন রহিমার বাবা ময়েন উদ্দিন ফকিরহাট থানায় নিহতের স্বামী শেখ জাহিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ১৯ নভেম্বর জাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
জানা যায়, ওই মামলায় বাগেরহাটের দায়রা জজ আদালত ২০০০ সালের ২৫ জুন জাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এর আগে ওই মামলায় ১৯৯৮ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্নসমর্পণ করেন শেখ জাহিদ।
স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় ১৯৯৯ সালের ২০ জুন তিনি জামিন পান। পরবর্তীতে মামলায় গড় হাজির থাকলে তার অনুপস্থিতিতে সাজার রায় হয়। এরপর জাহিদ আবার কারাগারে যান। কারাগারে থেকে ২০০০ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জেল আপিল করেন তিনি।
আইনজীবীর তথ্যমতে, এরপর ডেথরেফারেন্স ও আসামির করা জেল আপিলের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে জাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর জেল আপিল করেন জাহিদ। এর ধারাবাহিকতায় আপিলের ওপর তাকে খালাসের রায় দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।