জুমবাংলা ডেস্ক : ভাই শাহীনের চিৎকার ও ভেতর থেকে গেট খুলে দেওয়ার পর অনেকেই হাজির হলেও এগিয়ে যায়নি কেউ ঝুলে থাকা ঈশিতার কাছে। ২০ মিনিট পর বাবা দোকান থেকে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরও কিছুক্ষণ বেঁচে ছিল ঈশিতা। তারপর সবশেষ।
ঈশিতা পাঁচ বছরের ছোট ভাইকে ফাঁসি ফাঁসি খেলা শুরু করার আগে বলেছিল, ‘ম্যাজিক করবো দেখবি, আমার কিছু হলে পানি ছিটাবি।’ সাত মিনিট আগেই বান্ধবী মদিনাকে বলেছিল, ‘স্কুলে যাব জানুয়ারিতে।’ নাচোল এশিয়ান স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল নিহত মোনুয়ারা খাতুন ঈশিতা।
বাড়িতে তখন বিদ্যুৎ না থাকায় টিভি দেখা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ভাই-বোন মিলে খেলছিল ফাঁসি ফাঁসি খেলা। আর খেলতে গিয়ে ফাঁসি লেগে মারা যায় ঈশিতা। গত ২৮ অক্টোবর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। সনি আট চ্যানেলে সিআইডি পর্ব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাই-বোন খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মারা যায় শিশু ঈশিতা।
জানালার শিকে ওড়নার দুই মাথা বাঁধা ছিল, মধ্যে ঝুলানো ওড়নায় গলা আটকা ছিল ঈশিতার। খাটের ওপর বালিশে পাঁ ছিল তার। আর ওই বালিশ পড়ে গেলে দুই পাঁ ঝুলে যায়।
মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে চিৎকার ও ভিতর থেকে সাহিন মেইন গেটে খুলে দেয় ছোট ভাই শাহীন। পাশের বাড়ির লোকজন সেই ঘরে পৌঁছে। কিন্তু অনেকেই হাজির হলেও এগিয়ে যায়নি কেউ ঝুলে থাকা ঈশিতার কাছে। বাড়ির মেইন গেটের পকেট গেটটি ছিল বাইরে থেকে আটকানো। ভিতর দিক দিয়ে লাগানো ছিল গেটের ছিটকিনি।
শিবগঞ্জ পৌর এলাকার রসুলপুর গ্রামের মোকসিদুর রহমান মনির দুই শিশু সন্তান ঈশিতা (৯) ও শাহীন (৫)। তাদের মা শাহনাজ সুলতানা তালাক প্রাপ্তা।
প্রতিদিনের মত বুধবার সকালে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিবগঞ্জ বাজারে ওষুধের দোকানে যান তাদের বাবা মোকসিদুর রহমান মনির। দুপুরে ১২টায় তার ফোনে খবর আসে ছেলে-মেয়ে ফাঁসি ফাঁসি খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মারা গেছে মেয়ে ঈশিতা। খবর পেয়ে ছুটে এসে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিছুক্ষন পর সব শেষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।