জুমবাংলা ডেস্ক : ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই রায়ের মাধ্যমে সারাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের আইনের শাসনের প্রতি যে অনাস্থা তৈরি হয়েছিল, তা ফিরে আসতে শুরু করবে। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের ২০ লাখ ভোটার যারা বার বার প্রতারিত হয়েছিল তারাও খুশি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বাতিল চেয়ে করা মামলায় রায় ঘোষণার পর এজলাস থেকে বেরিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অবিলম্বে আদালতের রায় কার্যকর করতে নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান শাহাদাত হোসেন।
এর আগে, ১২টার দিকে শাহাদাত হোসেনকে চসিক মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। ঐ মামলায় চসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনারের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আবুল মনজুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মাদ ওয়াহেদ মুরাদ, মোহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছিলেন চসিক কর্মকর্তারা। এ থেকে বোঝা যায়- নির্বাচনের নামে ঐদিন শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। যে কারণে নির্বাচনে ভোটের হিসাব চেয়ে এখনো পাওয়া যায়নি। কোনো কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেওয়া হয়নি। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয়- ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়লাভ করেন। ঐ নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের পর চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, গত ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর ১৯ আগস্ট চসিক মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। পরে চসিকে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।