বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ‘সিগনাস’ নক্ষত্রপুঞ্জে ঘটা বহুল আলোচিত এক সুপারনোভার অবশিষ্টাংশ থেকে ডেটা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মহাকাশে রকেট পাঠাচ্ছে গবেষণা সংস্থা নাসা।
রোববারের এই উৎক্ষেপণের লক্ষ্য হল, ‘সিগনাস লুপ’ বা ‘ভেইল নেবুলা’ নামে পরিচিত ধুলো ও গ্যাসের বিশাল মেঘমালা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা, যার সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার বছর আগে ঘটা এক সুপারনোভা বা তারার বিস্ফোরণে। গবেষকরা বলছেন এখনও বিস্তৃত হচ্ছে এটি।
২৯ অক্টোবর মার্কিন পূর্বাঞ্চলীয় সময় রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের ‘হোয়াইট স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জ’ থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে নাসা।
সিগনাস লুপের ৯০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ডিগ্রি পর্যন্ত গরম গ্যাসের বিভিন্ন অতিবেগুনী রশ্মি কয়েক মিনিট ধরে পর্যবেক্ষণ করবে ‘ইন্টাগ্রাল ফিল্ড আলট্রাভায়োলেট স্পেক্ট্রোস্কমিক এক্সপেরিমেন্ট’ বা ‘ইনফিউজ’ নামের মহাকাশযানটি। আর পুরো কাজটি হবে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করে।
সিগনাস লুপের অবস্থান দুই হাজার ছয়শ আলোকবর্ষ দূরে। সূর্য থেকে ২০ গুণ বড় একটি নক্ষত্রের বিস্ফোরণে এটি গঠিত হয়। আর এর প্রক্রিয়া এখনও চলমান। ঘণ্টায় প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার বেগে প্রসারিত হচ্ছে এর মেঘগুলো। ফলে, কীভাবে একটি সুপারনোভা নতুন তারা গঠনের প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে, তা গবেষণার জন্য ভালো জায়গা এটি।
“সিগনাস লুপে গঠিত সুপারনোভা কোনো ছায়াপথ গঠনের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।।” –বলেন মিশনটির মূল গবেষক ব্রায়ান ফ্লেমিং।
“সুপারনোভা কীভাবে নতুন নক্ষত্রপূঞ্জ গঠনে ভূমিকা রাখে, এর বিভিন্ন রশ্মি ও ছায়াপথ ঘিরে থাকা ঠাণ্ডা গ্যাস পরীক্ষা করার মাধ্যমে তা পর্যবেক্ষণ করবে ইনফিউজ।”
মহাকাশযানটি ভূপৃষ্ঠে অবতরণের পর এর সংগৃহিত ডেটা পরীক্ষা করে পুনরায় রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে গবেষকদের দলটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।