স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতে নয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আসন্ন টি-২০ বিশ^কাপ। যদিওএখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসেনি। তবে ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ১৬টি দলকে নিয়ে মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। ফাইনাল দিয়ে ১৪ নভেম্বর শেষ হবে আসরটি।,
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইপিএল ফাইনালের পর-পরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি মাঠে গড়াবে। তবে আইসিসির পক্ষ থেকে এখনও টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।
ভারতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত মে মাসে স্থগিত হয় আইপিএলের চর্তুদশ আসর। স্থগিত আইপিএলের বাকী অংশও হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবার পর আইপিএলের ফাইনাল হবে ১৫ অক্টোবর। তাই আইপিএল ফাইনাল শেষ হতে না হতেই, দু’দিন পর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে মাতবে ক্রিকেট বিশ্ব।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের খেলাগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে। এই রাউন্ডে আটটি দলকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি। এই আট দল এই রাউন্ডে ১২টি ম্যাচ খেলবে। প্রতি গ্রুপ থেকে শীর্ষে থাকা দু’টি করে দল মোট ৪টি দল, পরের রাউন্ড সুপার টুয়েলভে খেলবে। যারা সেরা আট দলের সাথে যোগ দিবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টি-টুয়েন্টিতে র্যাংকিংএ সেরা আট দলের মধ্যে থাকতে না পারায় মূল পর্বের টিকিট পেতে বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে খেলতে হবে। র্যাংকিংএর শীর্ষে থাকা আটটি দল সরাসরিই সুপার টুয়েলভ-এ খেলবে।
সুপার টুয়েলভে দলগুলোকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হবে। ছয়টি করে দল থাকবে এক গ্রুপে। এখানে ম্যাচ হবে ৩০টি। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সুপার টুয়েলভের ম্যাচ। সুপার টুয়েলভের খেলা হবে তিনটি ভেন্যু- দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহতে। প্রতি গ্রুপের সেরা দু’টি দল টিকিট পাবে সেমিফাইনালের। সেমির পর ফাইনালের মঞ্চে উঠবে সেরা দু’দল। দু’টি সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ম্যাচও হবে দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহতে।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে কি-না, এ বিষয়ে ২৮ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত জানানোর কথা ভারতের। খুব শীঘ্রই হয়তো, বিশ্বকাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিক চূড়ান্ত জানাবে আইসিসি ও ভারত। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।