জুমবাংলা ডেস্ক : শীতের সকালে মায়ের হাতের তৈরি পিঠা খেতে কে না ভালোবাসে। এই পিঠা তৈরি করতে মায়েরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরে গিয়ে সবার জন্য পিঠা তৈরি করেন। আর মাকে ঘিরে চারপাশে বসে সেই গরম পিঠা খাওয়ার আনন্দ অন্যরকম। চিরায়ত বাংলার গ্রামীণ সমাজে এই চিত্র থাকলেও নাগরিক জীবনে এটি প্রায় দুর্লভ। তাই এর সঙ্গে শহুরে প্রজম্মের অনেকে পরিচিত না। গ্রামীণ এই সংস্কৃতিকে শহুরের নাগরিকদের মধ্যে তুলে ধরতে ‘পৌষ মেলা-১৪২৬’ আয়োজন করা হয়েছে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তিন দিন ব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ এই মেলার আয়োজন করে।
জানা গেছে, তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত৷ মেলায় আগতদের জন্য রয়েছে সন্ধ্যায় মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যা প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত৷
শীতের পিঠার স্বাদ নিতে আসছেন অনেকেইমেলায় বসেছে দেশের বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত পিঠার আসর। জেলার নামে এসব স্টলের নামকরণ করা হয়েছে। স্টলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, নোয়াখালী চম্পা পিঠাঘরে বিক্রির জন্য বাহারি রঙের পিঠা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এই স্টলে ঝিনুক পিঠা, লবঙ্গলতিকা, মুখ পাকন, মালপোয়া, ঝালপুলি, ঝাল লবঙ্গলতিকা, মিষ্টি পুলি, নকশি, ডিমপানতুয়া, পাটিসাপটা ইত্যাদি পিঠা। দোকানদার মো.শিমন জানান, সকাল থেকে অনেকে মেলায় ভিড় করেছেন। বিকালে এই ভিড় আরও বাড়তে পারে। এভাবে শরীয়তপুর পিঠাঘর, বরিশালের পিঠাঘর, মাদারীপুর পিঠাঘর, গোপালগঞ্জ পিঠাঘর, ময়মনসিংহের বিখ্যাত পিঠা দুধ চিতই, ঝাল জামাই, নেত্রকোনার দুধ চিতই ইত্যাদি পিঠা দেখা যায়।
মেলার স্টলগুলোতে বিভিন্ন জেলার পিঠা শোভা পাচ্ছে মেলায় এসেছেন এমএ ওয়াদুদ নামে এক ব্যক্তি। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রকমের পিঠা দেখা যায়। কিন্তু এসব পিঠার সঙ্গে শহরের প্রজন্মের অনেকের পরচয় নেই। এখানে এসে গ্রামবাংলার সেই পরিচিত পিঠা দেখে খুবই ভালো লাগছে।’
মেলা আয়োজন কমিটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শহীদুল হাসান শাহী বলেন, ‘২১ বছর ধরে পৌষ মেলার আয়োজন করে আসছে মেলা উদযাপন কমিটি। আগে এই মেলা আয়োজন করা হতো রমনার বটমূলে৷ গত চার-পাঁচ বছর ধরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, এবারের মেলায় ছোট-বড় ৫০টি দোকান রয়েছে। প্রতি দোকানের জন্য বিক্রেতাদের পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।