আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২২ তলার সমান বিশ্বের সববৃহৎ কনটেইনার জাহাজ নির্মাণ করেছে চীন। গত কয়েক বছরে চীনে জাহাজ প্রস্তুতকরণ শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। বড় আকারের যুদ্ধ জাহাজ, কনটেইনার শিপ এবং বড় ক্রুজসহ সবধরনের জাহাজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে চীন। তারই আরেকটি প্রমাণ এটি। এরই মধ্যে জাহাজটি ব্রিটেনের সংস্থার কাছে হস্তান্তর করছে চীনা কোম্পানি।
সিআরআই এর খবরে বলা হয়েছে, বিশাল এ জাহাজের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার, যা যুদ্ধ জাহাজের চেয়েও দীর্ঘ। ডেকের আয়তন ৩.৫টি ফুটবল মাঠের সমান। কার্গোর গভীরতা ৩৩.২ মিটার। একবারে ২৪ হাজার কনটেইনারে ২.৪ লাখ টন মালামাল পরিবহন করা যায়। জাহাজটির উচ্চতা ২২ তলা ভবনের সমান।
এ জাহাজের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত: ঐতিহ্যবাহী নকশা থেকে উন্নত করে পরিবহনের পরিমাণ অনেক বাড়িয়েছে। এটিকে সমুদ্রের বিগ ম্যাক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। জাহাজ মালিকদের মতে, এটি মালামাল পরিবহনের রাজা।
দ্বিতীয়ত: জ্বালনি সাশ্রয়ের দিক থেকে এটি সেরা। কম জ্বালানি ব্যবহার করে দ্রুত গতিতে চলতে পারবে। চীনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ডিজাইনের কারণে ঐতিহ্যবাহী জাহাজের তুলনায় এর প্রতিদিন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ ৩৮ টন কম হবে। প্রতিটি কনটেইনার পরিবহনে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ ১৩.৫ শতাংশ কমবে। বিভিন্ন সূচকে আন্তর্জাতিক অগ্রসর মান বজায় রাখা হয়েছে।
তৃতীয়ত, মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেতনায় এ জাহাজে রয়েছে দ্বাররুদ্ধ ডিজাইন। যার ফলে ঘরের ভিতরে গোলমালের শব্দ সর্বনিম্ন পর্যায়ে কমিয়ে আনা যায় এবং সার্বক্ষণিকভাবে এসি ব্যবস্থা চালু করা যায়। বাস করার কার্গোতে রয়েছে ফ্যাশনাবল ও বৈচিত্র্যময় ডিজাইন, যাতে চার-তারকা হোটেলের মতো অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ক্রুরা আরও আরামদায়ক পরিবেশে কাজ ও জীবনযাপন করতে পারবেন।
সমুদ্রে চলার পথে বাড়ির মতো উষ্ণতা ও দেখাশোনার অভিজ্ঞতা পাবেন বলে দাবি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। চালিকাশক্তির দিক থেকে জাহাজটিতে সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।