জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা বেগম ওবায়দা খানমের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, আগামী ২৭ জুলাই ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পিসি, এপিসিসহ মোট ৮১ জন সাধারণ আনসার সদস্য। এ নির্বাচনে পাঁচ দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য পিসি, এপিসি ভাতা পাবেন ২ হাজার ৬২৫ টাকা এবং সাধারণ আনসার সদস্য পাবেন ২ হাজার ৩৭৫ টাকা। চূড়ান্ত বাছাইয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে প্রত্যেককে অফিস খরচ বাবদ প্রায় ৭-৮শ টাকা ঘুস দিতে হয়।
গতকাল রোববার সকাল ১০টায় ক্ষেতলাল আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে প্রায় দুই শতাধিক আনসার বাহিনীর সদস্য উপস্থিত হন। জেলার প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করেন আক্কেলপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা কাজী মাকামাম মাহমুদা ও ক্ষেতলাল উপজেলা কর্মকর্তা বেগম ওবায়দা খানম।
এ বিষয়ে বিনাই গ্রামের আনসার সদস্য আ. মান্নান বলেন, আমার কাছ থেকে ৮শ টাকা চেয়ে ছিল, আমি ৫০০ টাকা দেওয়ায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়। বিষয়টি জানার পর পরের দিন অন্যের কাছ থেকে আবার ২শ টাকা ধার নিয়ে এসে দিলে আমার নাম চূড়ান্ত তালিকা করে।
অপর ভুক্তভোগী আমানিপাড়া গ্রামের নাহিদ সুলতান বলেন, আমার গ্রামের একজন কমান্ডার আছে উনি ৭শ টাকা দিয়েছে। আমার এলাকায় আরও কয়েকজন আছে, তাদের কাছ থেকেও ৭০০-৮০০ টাকা নিয়েছে বেগম ওবায়দা খানম।
আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান, উজ্জ্বল হোসেনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বলেন, টাকা দিতেই হবে। প্রত্যেকের কাছ থেকেই ৬-৮শ টাকা নিয়েছে। আমার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল আমি না দেওয়ার কারণে ওবায়দা খানম আমার কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছেন।
আক্কেলপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কাজী মাকামাম মাহমুদা বলেন, আমি জেলার প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে আনসার সদস্য বাছাই করতে গিয়েছিলাম, প্রত্যেকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা করেছি। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। জেলা কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বেগম ওবায়দা খানম বলেন, চূড়ান্ত বাছাইয়ের সময় আমি এবং আক্কেলপুরের অফিসার ছিল। চূড়ান্ত বাছাই তারা করে গেছে আমি কারো কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।