গাজায় ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশু এবং চিকিৎসকসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী আকাশ ও স্থল হামলা জোরদার করে। হামলায় বসতবাড়ি, স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কেন্দ্র, ত্রাণশিবির এবং নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ট্রাক লক্ষ্য করা হয়। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়ার পরিবারের সদস্যরাও হামলায় নিহত হয়েছেন। তার ভাই, ভাবি ও সন্তানরা বিমান হামলায় প্রাণ হারান।
ডা. আবু সালমিয়া বলেন, “আমি হাসপাতালেই কাজ করছিলাম। আমার প্রিয়জনদের মৃতদেহ দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি। সবকিছুই সম্ভব—আপনি হয়তো পরে আপনার প্রিয়জনদের মৃত অবস্থায় দেখবেন।”
হামাস এই হামলাকে চিকিৎসকদের প্রতি একটি ‘রক্তাক্ত সন্ত্রাসী বার্তা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জানা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে হত্যা করেছে এবং ৪০০ জনকে আটক করেছে।
গাজা শহরের নাসর এলাকায় একটি ট্রাক লক্ষ্য করে চালানো হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তায় রক্তাক্ত মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আলজাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, “ইসরায়েলি ড্রোন, কামান ও বিস্ফোরক রোবট দিয়ে পুরো এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে। এটি যেন ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হচ্ছে।”
গাজা সিভিল ডিফেন্স জানায়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া হামলায় সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ গাজা সিটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। শহরটিতে একসময় প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।