জুমবাংলা ডেস্ক: ‘টাইগার’ কোনো বাঘের নাম নয়। কৃষক ফারুক আহমেদের গৃহপালিত একটি ষাঁড়ের নাম। ফারুক আহমেদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে। আদর করে ফ্রিজিয়ান জাতের এই বিশালাকৃতির ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘নাওড়ার টাইগার’।
ষাঁড়টি দেখতে অনেকটা বাঘের মতো।
প্রায় ২৪ মণ ওজনের (৯৬০ কেজি) ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে সাত ফুট, উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি। টাইগারের বয়স প্রায় সাড়ে তিন বছর। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যত্নে লালন-পালন করেছেন এর মালিক। ইতিমধ্যে টাইগার নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর। প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী লোকজন ষাঁড়টিকে দেখতে ভিড় করছে ফারুকের বাড়িতে। তবে এত বড় ষাঁড়ের ক্রেতা এ অঞ্চলে না পাওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।
ষাঁড়ের মালিক ফারুক আহমেদ জানান, কোনো ক্ষতিকর ট্যাবলেট কিংবা ইনজেকশন ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হয়েছে। খড়, ঘাস, খৈল, ভুসি, খুদের ভাতসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ষাঁড়টির পেছনে দৈনিক ৮০০ থেকে হাজার টাকা ব্যয় হয়। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এসে ষাঁড়টি দেখে যান। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা খামারির কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তাদের গরুগুলো অনলাইন পশুর হাটে বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি। ‘
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।