জুমবাংলা ডেস্ক: ঘর হো তো অ্যায়সা! ইয়া লম্বা বাড়ি। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন আকাশ ছুঁয়েছে বাড়ির ছাদ। বাড়ির আনাচেকানাচে যেন ছড়িয়ে-ছটিয়ে রয়েছে নানা আমোদের ব্যবস্থা। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে আপনার। বাড়িতে রয়েছে বিলাসবহুল ভাবে দিনযাপনের হাজারো ফিরিস্তি।
এমন স্বপ্নের বাড়ি কে না চায় বলুন! তবে এই বিলাসবহুল বাড়িতে পা রাখার মতো সাধ্য সবার নেই। কারণ, বাড়িটির দাম কয়েক কোটি টাকা। এমনই এক বিলাসবহুল বাড়ি কিনে তাক লাগিয়েছেন পোশাক বিপণী ‘জারা’র প্রতিষ্ঠাতা আমানসিও ওর্তেগা। ৪১ তলা টাওয়ারের একটি বাড়ি কিনেছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ঐ ব্যক্তি। এই গগনচুম্বী অট্টালিকাটির উচ্চতা ১৩৩ মিটার। বিলাসবহুল বাড়িটি কিনতে অনেক টাকাই খরচ করতে হয়েছে স্প্যানিশ ব্যবসায়ীকে। বাড়িটির দাম জানলে হতবাক হবেন। দুই হাজার ৬৭১ কোটি টাকারও বেশি দামে বাড়িটি কিনেছেন তিনি।
ঐ অট্টালিকায় রয়েছে ৪৬১টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। বাড়ির অন্দরমহলের নকশা চোখ ধাঁধাবে। বাড়িময় বিলাসবহুল ভাবে জীবনযাপনের হাজারো উপকরণ রয়েছে। ওয়াশিংটনের সিয়াটেলের সাউথ লেক ইউনিয়ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ঐ অট্টালিকা। যার নাম রাখা হয়েছে ‘কিয়ারা’। ঐ এলাকায় এটিই প্রথম গগনচুম্বী অট্টালিকা। ২০১৮ সালে ঐ অট্টালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়। বাড়িটি তৈরি করেছে সিয়াটেলের আর্কিটেকচার ফার্ম ‘ওয়েবার থম্পসন’। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে।
কী কী রয়েছে বাড়িটিতে? বলা ভালো কী নেই বাড়িতে! বিলাসবহুল ছাদ রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। রয়েছে পেন্টহাউস। এমনকি, রয়েছে মরূদ্যানও। বাড়িটির একাধিক জায়গায় এক টুকরো সবুজের সমারোহ। বিভিন্ন ধরনের গাছ দিয়ে সাজানো বাড়ির ভেতরে বিভিন্ন জায়গা। একাধিক জায়গায় লন। যেখানে সবুজের মধ্যে হাঁটা যাবে। বাড়িতে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন রয়েছে ‘থার্মোস্টেট’ ডিভাইস। যার সাহায্যে ঘরের তাপমাত্রা আপনা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। অট্টালিকায় বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে রয়েছে ডিশওয়াশার, ওয়াইন ফ্রিজের মতো আধুনিক জীবনযাপনের ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে রকমারি আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে বাড়ির চারপাশ। রাতের বেলায় ঐ সব আলোর রোশনাইয়ে ঝিকমিক করবে পুরো বাড়ি।
অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে মিলবে আলাদা আলাদা ব্যালকনি। যেখান থেকে চারপাশের সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যাবে। বাড়িটির অন্যতম আকর্ষণ হলো ‘রুফটপ’ এলাকা বা ছাদ। এক কাপ চা বা কফির সঙ্গে গা এলিয়ে এখানে বসলে সারা দিনের ক্লান্তি নিমেষে দূর হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ছাদ থেকে চারপাশের শোভা দারুণ ভাবে উপভোগ করা যাবে। শুধু তাই নয়, ছাদে রয়েছে বাগান। যেখানে নানা ধরনের গাছ লাগানো। মাটি থেকে অনেকটা দূরে আকাশের কাছাকাছি বসে সবুজের সমারোহে সময় কাটানোর সুযোগ মিলবে সেখানে। অট্টালিকায় রয়েছে ক্লাবরুম, খেলার ঘর, স্যুইমিং পুল। এ ছাড়াও শরীরচর্চা করার জন্য আধুনিক ফিটনেস সেন্টার, গ্রুপ ফিটনেস স্টুডিও।
‘কিয়ারা’য় রয়েছে ‘কমিউনিটি বিজনেস সেন্টার’। সেখানে আছে কনফারেন্স রুম, ব্যক্তিগত মিটিং রুম। অট্টালিকায় আরো একটি জায়গা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। সেটি হলো মরূদ্যান। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য পার্ক’। সেখানে আছে বার্বিকিউ স্টেশন, নিরিবিলিতে বসার ব্যবস্থা ও হাঁটার জায়গা। বিলাসবহুল বাড়িতে মিলবে একটি কফি বারও। সেখানেও কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো যাবে। পাওয়া যাবে ‘ডগ লাউঞ্জ’। অট্টালিকায় প্রায় ৩৭৪টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতীতেও এমন অনেক বিলাসবহুল অট্টালিকা কিনেছেন জারার প্রতিষ্ঠাতা। যার মধ্যে আছে নিউইয়র্কে ৬৫ তলার একটি বাড়ি। টরোন্টতেও মেলে তার একটি বিলাসবহুল বাড়ি। এ ছাড়া স্কটল্যান্ডে রয়েছে আরো একটি সম্পত্তি। এই তালিকায় এ বার জুড়ল সিয়াটেলের নতুন বাড়ি। যার বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা নজরকাড়া।
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।