মাদারীপুরের শিবচরে থেমে থাকা বালুবোঝাই বাল্কহেডে স্পিডবোটের ধাক্কায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। আজ সোমবার (৩ মে) ভোর ৬ টার দিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। আহত কয়েকজনকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, ভোরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজারের দিকে আসছিল স্পিডবোটটি। ঘাটের কাছাকাছি এলে নোঙর করা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে স্পিডবোটটি উল্টে যায়।
শিবচর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ শ্যামল বিশ্বাস ২৬ জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজারের দিকে যাওয়ার সময় কাঁঠালবাড়ি (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে একটি বাল্কহেডের (বালু টানা কার্গো) পেছনে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন শিশু ও একজন নারী রয়েছে। মরদেহগুলো পুরান কাঁঠালবাড়ি ঘাটে রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
কতজন যাত্রী ছিল স্পিডবোটটিতে: করোনার মহামারিরোধে সরকারঘোষিত ‘লকডাউনে’ গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু অসাধু স্পিডবোটচালক অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করে আসছে। এর মধ্যে কিভাবে এত সংখ্যা যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট কিভাবে নদী পার হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হলে প্রশ্ন উঠেছে স্পিডবোটটিতে যাত্রী ছিল কত জন আর এর ধারন ক্ষমতাই কত ? পাঁচ জন জিবীত উদ্ধার হওয়ায় মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩১ জন। ধারনা করা হচ্ছে আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। একটি স্পিডবোটে এতসংখ্যাক যাত্রি নিয়ে চলাচল এমনিতেই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।