জুমবাংলা ডেস্ক : মর্যাদাপূর্ণ উইমেন ইন লিডারশিপের (উইল) ফ্ল্যাগশিপ আয়োজন ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ডের ৮ম সংস্করণে দেশের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী পেশাজীবী নারীদের সম্মানিত করা হয়েছে ।
শনিবার (৯ মার্চ) রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে জমকালো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি অয়োজিত হয়। লিডারস অফ টুমোরো (সম্ভাবনাময়ী শিক্ষার্থী) সহ মোট ২৬ জন নারী ১১টি বিভাগে সম্মাননাটি অর্জন করেন। ১৩ জন বিজয়ী এবং ১৩ জন অনারেবল মেনশনদের নাম এই গালা অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়। ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড হলো আকিজ টেবিলওয়্যার নিবেদিত ৫ম উইলফেস্টের একটি অংশ, যার সঞ্চালনায় ছিল আরএফএল হাউসওয়্যার এবং সহযোগিতায় স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড ও দ্য ডেইলি স্টার। এই বছরের উইল ফেস্টে উইমেন ইন লিডারশীপের এক দশক উৎযাপন করা হয়।
উইল ফেস্টিভালের এ বছরের থিম “পারসুট অফ উইমেনস ইকোনমিক ইনডিপেনডেন্স, অর্থাৎ “নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অন্বেষণ”। উইলফেস্ট ২০২৪ নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের বহুমুখী সম্ভাবনা তুলে ধরে। সর্বস্তরের নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পথ অর্জন করেই বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে এবং তাদের নিজস্ব জীবনে ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। উইল-এর এবারের আসরটি এই সময়োপযোগী থিম সম্পর্কে আলোচনা করেছে। এবং তাদের প্রাপ্য সম্মানের সাথে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
এই বছর, এই সম্মাননাটির জন্য দেশব্যাপী বিপুল সংখ্যক নমিনেশন জমা পড়ে । ১১টি বিভাগের অধীনে শতাধিক সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫০ টিরও বেশি আবেদন গৃহীত হয়। দেশের শীর্ষ ক্যাটেগরি বিশেষজ্ঞ এবং স্বনামধন্য পেশাজীবী ব্যক্তিদের তিনটি জুরি প্যানেল বিজয়ীদের বাছাই করে এবং তাদের -অনারেবল মেনশন এবং বিজয়ী এই দুটি স্তরে পুরস্কৃত করে।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় উইমেন ইন লিডারশিপ এর প্রেসিডেন্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন “যে কোনো পেশাদার নারীর স্বীকৃতি লাভের জন্য ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে তাদের সম্ভাবনা অন্যদের কাছে আরও বেশি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। উইল ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড শুধুমাত্র যোগ্যদেরই পুরস্কৃত করে না বরং একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে নারীর অধিকন্তু উন্নয়নের জন্যেও কাজ করে।”
এক দশক ধরে উইল পেশাজীবী নারীদেরকে তাদের ক্যারিয়ারে নেতৃত্বগুণ অনুশীলনে উৎসাহিত করে আসছে। ২০১৪ সালে প্রথম ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়, এবং তখন থেকেই এই সম্মাননাটির লক্ষ্য ছিল দেশের অগ্রগতিতে নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া, এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজে তাদের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড গালা এর পূর্বে, উইমেন ইন লিডারশিপ-উইল,৭ম উইমেন লিডারশিপ সামিটের আয়োজন করে, যা এবছরের উইলফেস্টের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
“পারসুট অফ উইমেনস ইকোনমিক ইনডিপেনডেন্স”, অর্থাৎ ‘নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অন্বেষণ’- এই থিমকে বিবেচনায় রেখে আয়োজিত এই সম্মেলনটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা, চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে একত্রিত করেছে দেশের কর্পোরেট ও উন্নয়ন খাতের শীর্ষ পেশাজীবী, সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, শিল্পী এবং কর্মী, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ এবং নীতি নির্ধারকদের।
সামিটটি ০২টি কিনোট সেশন, ০৪টি প্যানেল ডিসকাশন, ০১ টি ইনসাইট সেশন এবং উইল এর ১০ বছরের যাত্রা উদযাপনে প্রেসিডেন্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা এর একটি বিশেষ সেশনের সমন্বয়ে একটি আকর্ষণীয় এজেন্ডা তুলে ধরেছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন “এ বছর আয়োজনটির প্রত্যয় হলো নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সাবলম্বিতা অর্জনে নারীদেরকে উৎসাহিত করা এবং তাতে উইল কীভাবে অবদান রাখতে পারে সেদিকে দৃষ্টি
নিবদ্ধ করা।”সামিটটির কিনোট সেশনের বক্তারা হলেন: প্রফেসর তুলসী জয়কুমার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, সেন্টার ফর ফ্যামিলি বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ, এস.পি. জৈন ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ, মুম্বাই, ভারত; এবং ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সামিটের অন্যান্য সম্মানিত বক্তারা ছিলেনঃ জারা জাবীন মাহবুব , এমপি, মেম্বার, স্থায়ী কমিটি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; দিমিত্র নিকলোপৌলু, পারফরম্যান্স আর্টিস্ট, গ্রিস; জাহিদা ফিজা কবির, সিইও,সাজিদা ফাউন্ডেশন, মোঃ তাজদীন হাসান, চিফ বিজনেস অফিসার, দ্য ডেইলি স্টার; সাদ জসীম, এরিয়া হেড অফ ট্যালেন্ট,কালচার এন্ড ইনক্লুশন- এপিএমইএ সেন্ট্রাল,ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বাংলাদেশ; নাজিম ফারহান চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অ্যাডকম লিমিটেড; প্রফেসর ইমরান রহমান, ভাইস চ্যান্সেলর, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট, প্রেসিডেন্ট, উইমেন ইন লিডারশীপ -সহ প্রমুখ।
সামিটটি আবর্তিত হয়েছিল বহুমুখী এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন বিষয় যেমন কীভাবে নারীরা স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে, ভবিষ্যতের নারী কর্মীদের মাঝে কোন গুণাবলী অত্যাবশ্যক সহ ডিজিটাল মাধ্যমে নারীদের নিজস্ব পরিচিত গড়ে তোলার মাধ্যম সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।