পুঁজিবাজার ডেস্ক : দিন যতই যাচ্ছে ততই সূচক ও শেয়ারের দাম কমছে। এ পযন্ত প্রায় ২৬ লাখ বিনিয়োগকারীর প্রায় ৭৪ হাজার কোটি টাকা পুঁজি উধাও হয়েছে! পুঁজি হারানোর প্রতিবাদে মতিঝিলের রাস্তায়ও নেমেছেন কেউ কেউ। ক্ষিপ্ত হয়ে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানসহ কমিশনের পদত্যাগ এবং কমিশন পুনর্গঠন করার দাবি জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা এনামুল হক গণমাধ্যমে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার শ্যালকের পরামর্শে ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম গত জানুয়ারিতে। এখন সে শেয়ারের দাম ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ চার লাখ টাকার পুঁজি উধাও। এ টাকা আমার মেয়ের বিয়ের খরচের জন্য রেখেছিলাম। এখন আমি কি করব? কীভাবে এ টাকা ফিরে পেতে পারি?
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। তারা এত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন যে আর কোনো ভরসা পাচ্ছেন না। সর্বশেষ ডিএসইর এমডি নিয়োগ নিয়ে বোর্ড সভায় যে ঘটনা ঘটছে, তাও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এটা অশনিসংকেত। কেন যেন বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, ডিএসই প্রতিযোগিতা করে দুঃশাসন নিয়ে আসছে বিনিয়োগকারীদের জন্য।
সার্বিক বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, উত্থান-পতন পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু এখন পুঁজিবাজারে যা হচ্ছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। একটি গ্রুপ ‘অগানাইজড ওয়েতে’ বাজার চালাচ্ছে।
এ চক্রের কারণে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজার লিমিট ২৫ শতাংশ থাকলেও ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করছে না। ব্যাংকগুলো ইচ্ছা করলেই অন্তত ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবে। তার কারণ পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ রয়েছে ১২-১৪ শতাংশ পর্যন্ত। ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে ২৫-৩০ শতাংশ লেনদেনে অবদান রাখে। কিন্তু এখন ইতিবাচক কোনো অবদান রাখছে না, যোগ করেন তিনি।
তথ্যসূত্র : বার্তা২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।