জুমবাংলা ডেস্ক: ২৭ বছর আগের নওগাঁর বদলগাছীতে টগর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮ আসামির মধ্যে ১৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুর রেজাক খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন- আশরাফুল, তসলিম উদ্দীন, নুরুল আলম ওরফে খোকন, নুরুজ্জামান, নুরুল হুদা, ইয়াকুব আলী, বাচ্চু, মোয়াজ্জেম, আবুল ওরফে আবুল কাশিম, লাজাব, আকবর আলী, আয়নাল হক, পিটু ওরফে পিন্টু, মঞ্জু, এনামুল, খাজামুদ্দিন।
এছাড়া, মামলার মূল আসামি চিকিৎসক নুরুল ইসলাম ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে যান। আরেক আসামি সবুজ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেননি। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২/১৪৯ ধারার অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় ১৬ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। রায় প্রকাশ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি বলেন, ডাক্তার নুরুল ইসলাম এই মামলার মূল আসামি।
বিচারিক আদালত তাকে ফাঁসি দিয়েছিল, পরবর্তীতে ২০১১ সালে হাই কোর্টের আপিলের রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে যান। কিছুদিন আগে তিনি মারা গেছেন।
নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে নওগাঁর কেসাই গ্রামে পুকুরে মাছের পোনা ছাড়াকে কেন্দ্র করে টগর নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেন চিকিৎসক নুরুল ইসলাম। এ ঘটনায় চিকিৎসক নুরুল ইসলামসহ তার সহযোগী ১৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলায় ২০০৫ সালের ১০ জুলাই নওগাঁর নিম্ন আদালত আসামি নুরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি ১৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুরুল ইসলামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং ১৮ আসামির যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখেন। এরই মধ্যে মারা যান মূল আসামি নুরুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।