আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রতারিত হয়ে ভিয়েতনামে গিয়ে ২৭ বাংলাদেশি হ্যানয় মিশন দখলের চেষ্টা চালিয়েছে এবং বিদেশের মাটিতে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই ২৭ জন এখনও ভিয়েতনামে অবস্থান করছে। এ ঘটনার পেছনে প্রবাসী অধিকার পরিষদ নামের একটি সংগঠনের নাম জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৪ জুলাই) গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ভিয়েতনাম এমন একটি দেশ, যেখানে বিদেশিদের জন্য তেমন কাজের কোনো সুযোগ নাই। অথচ পাচারকারীরা ওইখানে অনেক বাংলাদেশিদের নিয়ে গেছে, সঠিক সংখ্যাটা আমাদের জানা নেই।’
ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘গত ২ জুলাই আমাদের রাষ্ট্রদূত ও মিশনের কর্মকর্তারা ভিয়েতনাম থেকে দেশে আসার জন্য বাংলাদেশিদের সহায়তা করছিলেন। এমন সময় ২৭ জন বাংলাদেশি ভিয়েতনামে আমাদের মিশনে ঢুকে পড়ে এবং দখল করে নেয়। তারা তখন দাবি করে যে, তাদেরও বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। ওই সময় তাদের বলা হয় যে, একটি ফ্লাইট যাচ্ছে, ওই ফ্লাইটে তারা যেতে পারে। কিন্তু তারা সেই ফ্লাইটে আসতে চায় না। আবার তারা কোনো টাকা-পয়সাও খরচ করবে না। এ নিয়ে অনেক দেন-দরবার চলে। শেষে তাদের ভিয়েতনামের একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। তারা এখনও ওই হোটেলেই আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা একটি অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, সরকার তাদের কোনো সাহায্য করছে না। প্রথমত, তারা সবাই অবৈধভাবে ভিয়েতনাম গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, তাদের কারও কাছেই পাসপোর্ট নেই। তারা পাসপোর্টের বিষয়ে কোনো কথা বলতেও রাজি না। তারা জানিয়েছে যে, পাসপোর্ট তাদের এজেন্টরা নিয়ে গেছে। আবার তারা কোনো আইডিও (পরিচয় পত্র) দেখাতে চায় না। তারা দূতাবাসকে কোনো ধরণের সহযোগিতাই করছে না। ওই ২৭ জনের দাবি হলো যে, তাদের বাংলাদেশে নিয়ে যেতে হবে এবং সরকার বিশেষ ফ্লাইটে করে নিয়ে যাবে। এ বিষয়ে তারা আবার ভিডিওতে আন্দোলন করছে। তারা বলছে যে, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার মিশনগুলোকে তারা আক্রমণ করবে। এদের নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রবাসী অধিকার পরিষদ একটি নতুন সংগঠন। এর প্রধান হোতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নূর সাহেব বা কেউ।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (৪ জুলাই) এক বার্তায় জানায়, ২৭ জন বাংলাদেশি মানব পাচারকারীদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে এখন ভিয়েতনামে অবস্থান করছে। এর আগে, গত ২ জুলাই ঢাকা-হ্যানয় কর্তৃপক্ষের যৌথ সহযোগিতায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে ১১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে। এই ২৭ জন বাংলাদেশিও ওই ফ্লাইটে দেশে ফেরার জন্য তালিকাভুক্ত ছিল। এই ২৭ জন দাবি করে যে, বাংলাদেশ সরকারকে তাদের বিমান ভাড়া দিতে হবে। অথচ অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার কারণে দেশে ফেরার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিমান ভাড়া দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।
বার্তায় আরও বলা হয়, এরপর এই ২৭ জন জোড় করে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ মিশনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং মিশন দখল করার চেষ্টা চালায়। এই সময় তারা ভিয়েতনামের আইনও ভঙ্গ করে। তারা বিদেশ বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করার চেলায়। এমনকি ওই ২৭ জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি নেতিবাচক তথ্য প্রচার করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।