নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ ডিসেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
অবশেষে সরকারের মেগা প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের শুরু হতে যাচ্ছে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক এই টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ২০২৩ সালের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ ও সম্প্রসারণের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন ও খসড়া মাস্টার প্ল্যান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থাপন করা হয়।
২০১৭ সালে ২৪ অক্টোবর বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। কিন্তু আইনি জটিলতা ও বেবিচকের বড় প্রকল্পের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় কাজ শুরু হতে দেরি হয় ও ব্যয় বাড়ে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
বেবিচকের তথ্যমতে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৪ বছর। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের তিন তলা ভবনটির নকশা করেছেন এনওসিডি-জেভি জয়েন্ট বেঞ্চার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন (প্রাইভেট) লিমিটেডের (সিঙ্গাপুর) স্থপতি রোহানি বাহারিন।
জানা যায়, তৃতীয় টার্মিনালের বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস (স্ব-সেবা) চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে। এছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ মোট ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে।
আগমনের ক্ষেত্রে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট এবং ১৯টি চেক-ইন অ্যারাইভ্যাল কাউন্টার থাকবে। টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে।
অতিরিক্ত ওজনের লাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট স্থাপন করা হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে, সেখানে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে বর্তমান টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে প্রকল্পের প্রথম ধাপে কোনও যোগযোগ ব্যবস্থা থাকবে না। তবে প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে কানেকটিং করিডোরের মাধ্যমে পুরনো টার্মিনাল ভবনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।