জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শিবগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যানের আবদুল মোমিনের (২৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের বড় হরিপুর গ্রামে বাড়ির শয়ন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশির ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আশিক ইকবাল জানান, মাদক মামলার কারণে তাকে গত বছরের এপ্রিলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ১০টি বিয়ে করা ছাড়াও তিনি জটিল মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছিলেন।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। এরপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ারম্যান আবদুল মোমিন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের বড় হরিপুর গ্রামের মাওলানা মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি মাদকসেবনে আসক্ত হয়ে পড়লে গত বছর ঠাকুরগাঁয়ে চাকরিকালে সাময়িক বরখাস্ত হন। মাত্র ২৮ বছর বয়সি আবদুল মোমিন এ পর্যন্ত ১০টি বিয়ে করেন। তার বিরুদ্ধে মাদক, স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা আছে।
পরিবার থেকে তাকে বিভিন্ন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার সকালে তার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়। সন্দেহ হওয়ায় স্বজনরা ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ইন্সপেক্টর আশিক ইকবাল জানান, শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ একাধিক নারী তাকে (মোমিন) স্বামী দাবি করেন। পুলিশ কর্মকর্তার ধারণা, বরখাস্ত হওয়া, স্ত্রীর মামলা ও সিজোফ্রেনিয়া রোগের কারণে ওই ফায়ারম্যান আত্মহত্যা করছেন। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।