জুমবাংলা ডেস্ক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৩ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে।
আজ সোমবার ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা শাখা-২) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন সম্ভব সকল আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে।’
এতে বলা হয়, ‘এছাড়া ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার নিমিত্ত ইন এইড টু দি সিভিল পাওয়ার এর আওতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর হতে ১০ জানুয়ারি (২০২৪) তারিখ পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব থেকে নির্বাচনি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনি পরিবেশ পরিস্থিতির উপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার নিমিত্তে প্রতি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর ছোট আকারের একটি করে অগ্রবর্তী টিম পাঠানো যেতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ফৌজদারী কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনে বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার এর ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে।
মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনি কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিম্নোক্ত সহায়তা করবে- সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে; রিটার্নিং অফিসারের সাথে সমন্বয় করে উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হবে; সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সাথে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে; সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকা ভিত্তিক ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করা হবে; ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা অবহিত করতে হবে; বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামত আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রমে সহায়তা করতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।