জুমবাংলা ডেস্ক: গোলাপ ফুলের জন্য বিখ্যাত সাভারের সাদুল্যাপুরের গোলাপ গ্রাম। লাখ লাখ গোলাপ ফুলে ছেয়ে থাকা গ্রামটিতে পাওয়া যায় দেশি-বিদেশি অন্যান্য ফুলও।
এমন মোহনীয় পরিবেশে প্রিয় মানুষ কিংবা বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসেন অনেকেই। তাদের দেখে গোলাপ বিক্রি করার জন্য হাঁকডাক শুরু করেন গোলাপ চাষি ও বিক্রেতারা।
‘আসেন মামা আসেন, তাজা গোলাপ আছে মামা। যত খুশি তত নিয়ে যান। পাইকারি রেট মাত্র ২ টাকা।’ এভাবেই হাঁকডাক দিয়ে গোলাপ গ্রামে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের ডাকছিলেন বিক্রেতারা।
সাভারের বিরুলিয়ার সাদুল্লাহপুর, শ্যামপুর, কমলাপুর, বাগ্মীবাড়িতে দেখা গেছে, ফুল চাষিরা ছোটো ছোটো কুড়েঘর করে ক্ষেতের পাশে বসে দর্শনার্থীদের ডেকে ডেকে ফুল বিক্রি করছেন। দর্শনার্থীরা এলে বাগান থেকে তাজা গোলাপ তুলে দিচ্ছেন। তিন মাস করোনার কারণে গোলাপ গাছের পরিচর্যা করতে পারেননি। এ কারণে এবার ফুল ফুটেছে কম। তাই কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সেগুলো খুচরা হিসেবেই ২ টাকা করে বিক্রি করছেন তারা।
বিক্রেতারা বলেন, করোনার আগে একটি গোলাপ ১০-১৫ টাকায় বিক্রি করতাম। কিন্তু মার্চ থেকে খুব কম বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। ঘোরাঘুরি, সামাজিক, রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, অনুষ্ঠান বন্ধ। ফুলের চাহিদা তেমন ছিল না। গত তিন মাস কোনো ফুল পাইকারি বা খুচরা বিক্রি করতে পারিনি। আবার করোনার কারণে তিন মাস আমরা মাঠেও যেতে পারিনি। গাছেই পচে গেছে ফুল। এছাড়া দর্শনার্থীরাও গোলাপ গ্রামে আসতে পারেননি। এখন অল্প কিছু দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছেন। তাই কোনো মতে সংসার চালাতে কম দামেই ফুলগুলো বিক্রি করছি।
করোনায় জারবেরা ফুল চাষিদের অবস্থাও একই রকম। ফুলের সঙ্গে গাছও পচে গেছে। তবে এখন কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন তারা।
জারবেরা চাষিরা জানান, করোনার সময় ফুল বিক্রি করতে পারিনি। ঋণ করে শ্রমিকদের বেতন দিয়েছি। তবে এখন ফুলের দাম ভালো পাচ্ছি। করোনার আগে পাইকারি দরে একটি ফুল বিক্রি করতাম ৫ টাকায়, এখন ৭ টাকা করে বিক্রি করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।