জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের পনট্টি ইউনিয়নের বি-আমতলী স্বরসতীপুর সীমান্তে অভিযানে যাওয়া দুই র্যাব সদস্যকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আটক করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র বলছে, আটকের পর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিএসএফ আটককৃতদের বিজিবির নিকট হস্তান্তর করেছে। তারা রাত সাড়ে দশটার দিকে আমবাড়ী বিজিবি বিওপি ক্যাম্প ছিলেন। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ’র কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
সূত্রমতে, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ওই সীমান্তের মেইন পিলার ৩০৭, সাব পিলার ১ এর কাছ থেকে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায় বিএসএফ।
আটককৃতরা হলেন, র্যাব-১৩ দিনাজপুর সিপিসি-১ এর সহঅধিনায়ক (এএসপি) শ্যামল চং ও কনস্টেবল আবু বকর সিদ্দিক।
স্থানীয়রা জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তি বি-আমতলী স্বরসতীপুর সীমান্তের সমজিয়া মণ্ডলপাড়া এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে মোটর সাইকেলযোগে সিভিল পোষাকে অভিযানে যায় ৫ জন র্যাব সদস্য। দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি ভাগে ২ জন এবং একটি ভাগে ৩ জন র্যাব সদস্য ভিন্নভাবে অভিযান শুরু করে। কিন্তু অজ্ঞতাবশত ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে যায় তারা। সেখানে ৩ জন র্যাব সদস্য ভারতীয় নাগরিক ইসরাফিলের ছেলে মিলনকে আটক করে র্যাব সদস্যরা।
এ সময় সে চিৎকার শুরু করলে মোশাররফ মাষ্টার ও হিরোসহ কয়েকজন মিলে মিলনকে ছিনিয়ে নিয়ে র্যাব সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এ সময় সেখানে থাকা ৩ জন র্যাব সদস্য নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এক রাউন্ড গুলি করে কৌশলে পালিয়ে আসে। গুলির শব্দ শুনে অপর প্রান্তে থাকা ২ জন র্যাব সদস্য তাদের সাথীদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সদস্যরা হাজির হলে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ওই ২ র্যাব সদস্যকে আটক করে তাদের ভারতীয় সমজিয়া ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
চিরিরবন্দর উপজেলার ১০নং পনট্টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আব্দুল ওহাব জানান, র্যাব সদস্যরা সেখানে ক্রেতা সেজে মাদক বিরোধী অভিযানে যায়। সেখানে স্বরসতীপুর ভারতীয় অংশে মাদক ব্যবসায়ী মিলনকে হাতকড়া পরালে চিৎকার করে। এ সময় এক রাউন্ড গুলি করে র্যাব সদস্যরা পালিয়ে আসে। কিন্তু একই অভিযানে অন্যস্থানে থাকা ২ জন র্যাব সদস্য সেখানে গেলে তাদেরকে আটক করে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় গ্রামবাসী। ওই এলাকার আরেক ইউপি সদস্য জাহির উদ্দিনও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ২৯ বিজিবি’র অধিনায়ক শরিফ উল্লাহ আবেদের মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
তবে, র্যাব-১৩ দিনাজপুর সিপিসি-১ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য ওই এলাকায় যাওয়া হলেও প্রতিবেদককে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি বিজিবি। একইসময়ে বিজিবি’র বি-আমতলী ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে চাওয়া হলেও অনুমতি নেই বলে ক্যাম্পে প্রবেশ করতে দেয়নি বিজিবি’র দায়িত্বরত সদস্যরা।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে বিজিবি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ’র কাছে পত্র পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।