স্পোর্টস ডেস্ক : ইপিএলে শনিবার(২৪ অক্টোবর) রাতের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোলমুখে একটি শট নিতে পেরেছিল চেলসি। ম্যাচের ৩২ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের নেয়া ডানপায়ের দুর্বল শটটা ঠেকিয়ে দিতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি ম্যান ইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডে হিয়াকে। পুরো ম্যাচে আর একবারও ডে হিয়ার পরীক্ষা নিতে পারেননি চেলসির কোনো ফরোয়ার্ড!
অথচ এই মৌসুমে ফরোয়ার্ডদের পেছনে অর্থ ঢালতে ঢালতে ক্লাবের পুরো বাজেট ব্যালেন্সই খালি করে ফেলেছে চেলসি!
ম্যাচটাতে গোলশুন্য ড্র হওয়ার জন্য অবশ্য দু’পক্ষই দায়ী। চেলসি বস ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড আরো একবার রক্ষণশীল ফুটবলটাকেই বেছে নিয়েছেন। ডিফেন্সেই খেলিয়েছেন ৫ জনকে। অন্যদিকে ওলেগানার সোলশায়ারের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও এমন কিছুই করে দেখাতে পারেনি, যাতে চেলসির রক্ষণে চিড় ধরে। দুই কোচই চেয়েছিলেন নিজেদের গোলপোস্টটাকে সামলাতে। তাতে তারা সফল। টিভিসেটের সামনে বসে যারা বিগ ম্যাচ উপভোগ করার কথা ভাবছিলেন তাদেরকে বিরসমুখে ফিরতে হয়েছে, এই যা!
তবে চেলসির কোচকে পড়তে হচ্ছে গ্যাঁড়াকলে। পরপর দুই ম্যাচে গোলশুন্য ড্রয়ের পর সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন। বিশাল অংক খরচ করে চলতি মৌসুমে দলে ভেড়ানো কাই হাভার্টজ, পুলিসিচ কিংবা টিমো ওয়ের্নারের সমন্বয়ে ফরোয়ার্ড লাইনের যে দৃশ্যমান কোনো কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই!
জার্মান তরুণ হাভার্টজ পুরো ম্যাচে একবার বলের যোগান দিতে পেরেছেন মাত্র, শট নিতে পারেননি একটিও। অন্যদিকে টিমো ওয়ের্নারকে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছেনা। বলের সঙ্গে কি তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে? পুলিসিচের কথা তো একবার বলা হলোই উপরে। পুরো ম্যাচে গোলপোস্টে চেলসির একমাত্র শটটা নিয়েছিলেন তিনিই।
এবারের গ্রীষ্মের দলবদলে ব্লুরা কেবল ফরোয়ার্ডদের পেছনে ব্যয় করেছে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলাদেশি অংকে যেটি ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এত বিশাল অংক খরচের পরও দলটা যেন কেমন গুটিয়ে গেছে! প্রেসিং ফুটবলের চেয়ে ডিফেন্সিভ ফুটবলকেই যেন বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে! এমন হলে সমর্থকদের ক্ষুধা যে মিটবেনা সেটি নিশ্চিত।
কোচ ল্যাম্পার্ডের এখন মূল দায়িত্ব অ্যাটাক এবং ডিফেন্সের মধ্যে সমন্বয় করা। কারণ গোল খাওয়া রুখতে যেয়ে ক্লাবটি যে গোল করাই ভুলে গেছে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।