লাইফস্টাইল ডেস্ক : ধরা যাক, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক খুবই ভালো। কেউ কাউকে মিথ্যা বলেন না, কোনো কথা গোপন করেন না। কিন্তু এর মাঝেও হঠাৎ কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে মিথ্যা! জীবনে চলার পথে ছোটখাটো নিষ্পাপ মিথ্যা কমবেশি অনেকেই বলেন। কেউ বা কাছের কোনও মানুষকে কোনও বিপদ থেকে বাঁচাতে মিথ্যা বলেন।
এসব মিথ্যায় কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু কোনো বড়সড় সমস্যার কারণ ঘটিয়ে ক্রমাগত মিথ্যা বলে যাওয়া মানসিক সমস্যার আওতায় পড়ে।
সঙ্গীর সোজাসাপটা মিথ্যা না হয় সহজেই ধরে ফেলা সম্ভব; কিন্তু যদি দিনের পর দিন জটিল মিথ্যার জাল ছড়ায়, তখন? বিশ্বাস করাই ভালবাসার প্রকৃতি, কিন্তু সেই বিশ্বাসের সুযোগ কেউ অকারণে নিচ্ছেন না তো? সন্দেহ বাড়লে তা যাচাই করে নিতে পারেন আপনিও। একটু চেষ্টা করলেই এ সব মিথ্যাও ধরে ফেলা যায়। ঝগড়া না করেও কিছু কৌশলে সঙ্গীর মিথ্যা ধরে ফেলা সম্ভব। তো জেনে নিন সেই কৌশলগুলো:
প্রশ্নবাণ: সাধারণত একটি মিথ্যাকে ঢাকতে একাধিক মিথ্যার শরণ নেন অনেকেই। মিথ্যা সাজাতে যথেষ্ট যুক্তিও সাজিয়ে রাখেন। মন দিয়ে তার কথাগুলো শুনুন। চেষ্টা করুন তারই নানা কথার ফাঁকে সেই কথারই সূত্রে নানা প্রশ্ন করতে। মেজাজ গরম নয়, বরং হাসি-ঠাট্টার ছলেই প্রশ্ন করবেন। বার বার বিভিন্ন প্রশ্নের প্রভাবে এক সময় মিথ্যার ডিফেন্স ভেঙে যাবে। বেরিয়ে আসবে আসল সত্য।
ভুলে যাবেন না: একটি ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার যোগ থাক বা না থাক, সঙ্গীর প্রতি সন্দেহ এলে তার বলা সব কথা ও কাজ মনে রাখুন। মিথ্যার আশ্রয় নিলে সহজেই বুঝতে পারবেন। অনেকেই আগের সব কথা মনে রেখে মিথ্যার যুক্তি খাড়া করতে পারেন না। তাই মনে রাখুন সবকিছু।
আচরণ: মনোবিদদের মতে, মিথ্যা বলা কঠিন কাজ। তাই তার জন্য অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ হয়। তার প্রভাব পড়ে আচরণ ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজে। চোখে চোখ রেখে কথা না বলতে পারা, চঞ্চল হয়ে পড়া, নানা ভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার মরিয়া চেষ্টা ইত্যাদি দেখা যায় তাদের আচরণে। তিনি কথা ঘোরাতে চাইছেন কি না সেটাও বুঝে নিন। অকারণে কথা ঘোরালে সচেতন হয়ে যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।