বিস্তীর্ণ সব জনপদ ঘুরে দেখা এবং ধর্মীয় তীর্থস্থানে যাত্রা সহ নানা কারণে মধ্যযুগে মানুষ দীর্ঘ সময় হাতে নিয়ে বিভিন্ন জনপদ ঘুরে বেড়াতেন এবং জ্ঞান অর্জন করতেন। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভ্রমণও অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো।
মধ্যযুগের দুনিয়াটা কেমন ছিল ও ওই সময়ের ইউরোপ আফ্রিকা এবং এশিয়ার নানা অঞ্চলের কাহিনী ফুটে উঠেছে তিন মুসলিম পরিব্রাজক এর লেখায়। তারা হলেন ইবনে বতুতা, ইবনে ফাদলান এবং এভলিয়ে চেলেবি। আজ ৩য় পর্বে এভলিয়ে চেলেবির বিবরণ তুলে ধরা হচ্ছে।
ওসমানী খিলাফতের সময় এভলিয়ে চেলেবি ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ পরিব্রাজক। নিজের আগ্রহ থেকে তিনি সফরে বেরিয়েছিলেন যা ৫০ বছর স্থায়ী হয়। তিনি ইউরোপ এবং উসমানী খেলাফতের অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখেন।
তার মেধা এবং ভাষাজ্ঞান দেখে ওই সময়ের সুলতান চতুর্থ মুরাদ খানের ইমাম তার বেশ প্রশংসা করেন। তার লেখায় ইস্তাম্বুলের বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। তিনি জানান, হযরত মুহাম্মদ (স) এর দিদার লাভ করতে সক্ষম হন এবং তিনি তাকে বিশ্ব ভ্রমণের নির্দেশ দেন।
তিনি ক্রিমিয়ার বাজারের বিবরণ দেন যেখানে দাস কেনাবেচা হতো। মা হতে সন্তানকে আলাদা করে তাকে বিক্রি করা হতো। তিনি মনে করেন যে এই বাজার দেখেনি সে বিশ্বের কিছুই দেখেনি। অসহায় ব্যক্তিরা সেখানে সাহায্যের আশায় চিৎকার করছে এবং কাঁদছে।
বসনিয়ায় একটি বিখ্যাত সেতুর কথা উল্লেখ করেন এবং একজন উসমানী ইঞ্জিনিয়ার এটি তৈরি করেন। এটার নাম ছিল মোস্তার ব্রিজ এবং তিনি বলেন আমি ১৬ টি দেশ ঘুরে দেখেছি কিন্তু এ ধরনের উঁচু সেতু কোথাও দেখিনি।
তিনি নীলনদের তীরে এমন কিছু সুফি সাধকদের বর্ণনা দেন যারা কুমিরকে পোষ মানাতে সক্ষম হয়েছিল। আরেক লেখায় তিনি উত্তর ইউরোপের ৪০ হাজার তাতার জনগোষ্ঠীর বিবরণ দেন। তিনি তার লেখায় মধ্য ইউরোপ এবং ওসমানী খেলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন যা থেকে ভ্রমণ সম্পর্কিত অনেক বৈচিত্রপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। তিনি মিশরের কায়রোতে মৃত্যুবরণ করেন।
২য় পর্ব: বিখ্যাত তিন মুসলিম পরিব্রাজকের চোখে মধ্যযুগের দুনিয়া
১ম পর্ব: বিখ্যাত তিন মুসলিম পরিব্রাজকের চোখে মধ্যযুগের দুনিয়া
সূত্রঃ বিডি ভিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।