জুমবাংলা ডেস্ক : ঠিক যেন সিনেমা, দুই সন্ত্রাসীকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল পুলিশ। অতঃপর তাদেরকে হঠাৎ পেয়ে পুলিশ থামতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাদেরকে আটক করতেই হবে এমন চিন্তা নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের পিছু নেন নাটোর সদর থানার এসআই জামাল উদ্দিন।
অতঃপর ৩০ কিলোমিটার পিছু ধাওয়া করে জেলার শেষ প্রান্তের এলাকা বড়াইগ্রামের শ্রীরামপুর থেকে আটক করেন তাদেরকে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে জীবন বাজি রেখে ব্যস্ততম মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে ৩০ কিলোমিটার ধাওয়া করে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করায় প্রশংসায় ভাসছেন এসআই জামাল উদ্দীন।
জানা যায়, নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকায় জামাল কাজী নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হাতের রগ কেটে দেয় মিল্টন ও সাইফুল নামে দুই সন্ত্রাসী। আহত জামাল কাজীকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনা জানার পর পরই নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহম্মেদের তত্ত্বাবধানে অভিযানে নামে এসআই জামাল উদ্দীন ও সঙ্গীয় ফোর্স। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তারা নিশ্চিত হন সন্ত্রাসীরা শহরতলীর বড়ভিটা এলাকায় অবস্থান করছে। সেখানে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালাতে থাকে দুই সন্ত্রাসী। এসআই জামাল উদ্দীন ও সঙ্গীয় ফোর্স মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের পেছনে ধাওয়া করেন। একটা সময় সন্ত্রাসীরা নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলে পিছু ছাড়েননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা। একপর্যায়ে বড়াইগ্রামের শ্রীরামপুর এলাকায় তাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে আটক করতে সক্ষম হন তিনি।
আটককৃতরা নাটোর শহরে মল্লিকহাটি মহল্লার বাসিন্দা। তাদেরকে শুক্রবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নাটোর জেলহাজতে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থানা পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।