আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভাগ্যের পরিহাস সাধারণ মানুষের কাছে আজও অজানা। এক সময় যে ফকির, সে আজকের রাজা। আবার আজকের যে রাজা কাল যে সে ফকির হবেনা সেই কথা কেও বলতে পারবেনা। এমনই একজনের গল্প বলতে চলেছি আপনাদের। যার মাত্র ৩০ টাকাতেই ভাগ্য বদলে যায়।
রাতারাতি লটারি কেটে বড়লোক হয়ে গেলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের দুই ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণশাইল এলাকার ঘটনা। সেখানের দুই ভাই সানিবুল শেখ ও আমিরুল শেখ বাস্তবে পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। বাইরে গিয়ে তারা ঢালাই শ্রমিকের কাজ করেন। দুই ভাইয়ের বাড়ির অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায়।
একটি ছোট বাড়িতে দু’জন মিলে বাস করতেন। সেখানে কোনওরকমে দিন কাটাতেন তারা দু’জন। ভাগ্য ফেরার স্বপ্ন বহুদিন ধরেই ছিল তাদের, কিন্তু ভাগ্য ফেরার পরিবর্তে আরো দূরে চলে যায় তাদের থেকে। অনেকেই কোটি পতি হওয়ার লক্ষ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে শুরু করে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে থাকেন কিন্তু এই ভাবে ভাগ্য পরিবর্তন খুব কম মানুষেরই হয়।
দুই ভাই মিলে এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে ৩০ টাকার লটারি কেনেন। আর সেই ধার করা লটারিতেই বাজিমাত করেন তারা। একেবারে ১ কোটি টাকা জিতে নেন দু’জনে। যদিও সেদিন তারা ভাবতেও পারেননি যে, কী অপেক্ষা করে রয়েছে তাদের জন্য। এরপর লটারির টিকিটের বিজেতার নাম্বার দেখতে পেয়ে দুই ভাই আনন্দে ফেটে পড়েন। গোটা পরিবারকে জানান সেই কথা।
সানিবুল শেখ জানান যে, “স্ত্রীর কাছে ৩০ টাকা চেয়েছিলাম লটারি কাটার জন্য। কিন্তু স্ত্রী দেয়নি। বলেছিল ‘সংসার ঠিক করে চলছে টাকার অভাবে সেখানে লটারি কেনার জন্য কোথা থেকে ৩০ টাকা দেব?’ এরপর রাগারাগি করে আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর একজনের কাছ থেকে ৩০ টাকা ধার করে একটা টিকিট কাটি। তারপর জানতে পারি যে আমি ১ কোটি টাকা জিতেছি।”
কিন্তু কী করবেন এত টাকা নিয়ে? সেই প্রশ্নের উত্তরে তারা জবাব দেন যে, “বাড়ির অবস্থা খুবই খারাপ। একটা ছোট বাড়ির মধ্যেই একসঙ্গে অনেক সদস্যের বাস। বাড়ির মধ্যে বাথরুমও নেই। তার জেরে খুবই সমস্যা হয়। তাই সবার আগে আমি বাড়ি তৈরি করব। সন্তানদের ভালো করে পড়াশোনা করাব। একটা দোকানঘর করব। আসলে বয়স হয়ে যাওয়ায় খুব বেশি কাজ করতে পারি না। তাই একটা দোকানঘর করব। চায়ের দোকান বা মুদিখানার দোকান করার ইচ্ছে আছে।”
চিহ্নিত হয়েছে ‘দুর্বল’ ১০ ব্যাংক, তালিকায় প্রথম যে ব্যাংকের নাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।