জুমবাংলা ডেস্ক : আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছি। কত বছর ধরে, কী পজিশনে, এখন বেতন কত- এসব উল্লেখ করে একটা সনদ দরকার। এই সনদ বের করতে হলে কতদিন লাগে জানেন? প্রায় পাঁচ দিন। কপাল খারাপ থাকলে আরও বেশী। কারণ এই মর্মে আমার আবেদনটিকে পার হতে হয় ১৪টি ধাপ।
ধাপগুলো এমন: বিভাগীয় চেয়ারম্যান- রেজিস্ট্রার (নোট লেখার জন্য পাঠাবেন)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার- অফিস সহকারী (তার লেখা নোট ফিরতি পদে যাবে)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার-রেজিস্ট্রার।
এরপর এই অতি সামান্য জিনিস পাঠাতে হবে ভিসির কাছে। তিনি অনুমোদন দেয়ার পর ফাইলের পুনরায় যাত্রা-রেজিস্ট্রার (এবার সনদটি লেখার জন্য পাঠাবেন)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার-অফিস সহকারী- এরপর আবার সনদে স্বাক্ষরের জন্য ডেপুটি রেজিস্ট্রার-রেজিস্ট্রার।
রেজিস্টার চিঠি সাক্ষরের পর তা যাবে ডেসপ্যাচ সেকশনে। সেখান থেকে যাবে নির্দিষ্ট পিওনের কাছে। তিনি যদি বেলা ১১টার পরে এ চিঠি পান, তা হলে আমি সেটা পাবো পরদিন সকালে।
এই হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল। অথচ আমার সরাসরি আবেদন পৌঁছানোর পর ডিজিটালি তথ্য ব্যবহার করে রেজিস্টারের একজন কর্মচারী এটা তৈরি করে তার সাক্ষর নিলে মোট সময় লাগার কথা বড়জোর ৩০ মিনিট।
লেখক: আসিফ নজরুল, আইন বিষয়ের অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।