জুমবাংলা ডেস্ক: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের সহকারী শিক্ষক অহিদুল ইসলাম ৩২ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষাদান করেও এখনো এমপিওভুক্ত হননি। এমপিওভুক্তির বিষয়ে একাধিকবার আবেদন করার পরও কোনো ফল না পেয়ে তিনি হতাশ। অবসরে যাওয়ার আগে তাঁর এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা না হলে তিনি অবসরের দিনে আত্মাহুতি দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
১৯৯২ সালে জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি এবং প্রধান শিক্ষক অহিদুল ইসলামের নাম বাদ দিয়ে অন্য একজনকে অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে তাঁর এমপিওভুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি ২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানান।
বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক রাজ্জাক সরকার বলেছেন, “শিক্ষক অহিদুল ইসলামের এমপিওভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শীঘ্রই অনলাইনে পাঠানো হবে। তাঁর কাছে কখনো কোনো টাকা আমি নিইনি। বিভিন্ন সমস্যার কারণে এতদিন এমপিও শিটে নাম অন্তর্ভুক্তির কাগজপত্র পাঠানো সম্ভব হয়নি।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, “অহিদুল ইসলামের কাগজপত্রে কোনো ত্রুটি নেই। তবুও প্রধান শিক্ষক কাগজপত্র পাঠাচ্ছেন না। এটি রহস্যজনক এবং এখন বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অহিদুল ইসলামের পরিবার জানিয়েছে, এমপিওভুক্তির আশায় তিনি জমিজমা বিক্রি করে অর্থ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে কাগজপত্র পাঠানোর জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তা কোনো ফল দেয়নি। এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তাঁর হতাশা আরও বাড়বে।
অহিদুল ইসলাম বলেন, “বিনা বেতনে ৩২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। আমার একমাত্র আশা এমপিওভুক্তি। অবসরে যাওয়ার আগে এই স্বীকৃতি না পেলে আমার বেঁচে থাকা অর্থহীন। অবসরের দিন আত্মাহুতি দেওয়া ছাড়া আমার আর কোনো পথ থাকবে না।”
সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দ্রুত এমপিওভুক্তির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। সূত্র : প্রথম আলো
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।