জুমবাংলা ডেস্ক: ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে ৩৪ শিক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্টে শূন্য দেওয়া গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক খন্দকার মাহমুদ পারভেজ বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল তিনি পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নুরউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এর আগে খন্দকার মাহমুদ পারভেজের অপসারণ দাবিতে গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষক সম্প্রতি একটি কোর্সের অ্যাসাইনমেন্টে ৩৪ জনকে শূন্য দিয়েছেন। আমরা কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার ইচ্ছা হয়েছে তাই শূন্য দিয়েছেন। একজন শিক্ষক কীভাবে এমন হতে পারেন!
জানা গেছে, খন্দকার পারভেজ সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের ভাতিজা। তিনি ২০১৬ সালে সেকশন অফিসার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। পরে অনার্স মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেণি থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এরপর মাত্র দেড় বছরেই সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে বিভাগের সভাপতি হন।
খন্দকার মাহমুদ পারভেজ বলেন, ‘অনার্স-মাস্টার্সে তার দ্বিতীয় শ্রেণি রয়েছে সত্যি, কিন্তু তার নিয়োগ অবৈধ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অধিকতর যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ‘দুটি শর্ত শিথিলযোগ্য’ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি উল্লেখিত এমন শর্তে চাকরি পেয়েছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।