রাজশাহীর তানোরে সরু ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি পরিত্যক্ত বোরিং গর্তে পড়ে মাটির ৩৫ ফুট নিচে আটকে থাকা দুই বছরের শিশু সাজিদকে ৯ ঘণ্টা পার হলেও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের অন্তত তিনটি ইউনিট রাত পর্যন্ত শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, শিশুটির কাছে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। গর্তের চারপাশে স্কেভেটর দিয়ে মাটি খননের কাজ চলছে।
এর আগে বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম সাজিদ, সে স্থানীয় বাসিন্দা রাকিবুল ইসলামের ছেলে।
কীভাবে ঘটলো দুর্ঘটনা
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, গ্রামের এক জমির মালিক কছির উদ্দিন প্রায় এক বছর আগে সেচের জন্য গভীর নলকূপ বসাতে ৩৫ ফুট পর্যন্ত বোরিং করেন। কিন্তু পানি না পাওয়ায় নলকূপ স্থাপন না করে গর্তটি এভাবেই খোলা পড়ে ছিল। দীর্ঘ এক বছর ধরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের এই গর্তটি ভরাট করা হয়নি।
বুধবার দুপুরে সাজিদের মা মাঠে খড় আনতে গেলে শিশুটি খেলতে খেলতে ওই গর্তে পড়ে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে নিজেরা শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম বলেন—“আমরা আসার আগেই স্থানীয়রা চেষ্টা করার সময় কিছু মাটি গর্তে পড়ে যায়। ক্যামেরা দিয়ে দেখার চেষ্টা করা হলেও মানুষের কোলাহলের কারণে শিশুটির সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।”
তিনি আরও জানান, “শিশুটিকে জীবিত রাখতে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। স্কেভেটর দিয়ে খনন চলছে। যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। শিশুটির জীবিত উদ্ধারের আশায় পুরো এলাকায় এখন শোক ও উৎকণ্ঠার ছায়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



