জুমবাংলা ডেস্ক : ১৯৮৬ সালে গাজীপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিবেশীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এর জেরে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচার শেষে অর্থদণ্ডসহ এক বছরের সাজা হয় আসামির। এর বিরুদ্ধে আপিলের ধারাবাহিকতায় মামলাটি সর্বশেষ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আসে।
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি মামলাটি নিষ্পত্তি করে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট বলেছেন- এই ঘটনা ঘটেছিল দুই প্রতিবেশীর মধ্যে তুচ্ছ একটা ঘটনার জেরে। এইসব ক্ষেত্রে আসামিকে এক বছরের জন্য জেলে না পাঠিয়ে প্রবেশনে রাখা সমীচীন ছিল।
আপিল বিভাগ আরও বলেছেন, যেহেতু দণ্ডবিধির ৩২৩ এবং ৩২৫ ধারা আপসযোগ্য অপরাধ এবং যেহেতু দুই পক্ষ হচ্ছে পরস্পর আত্মীয়/প্রতিবেশী কাজেই মামলাটি আপস মীমাংসা করা যুক্তিযুক্ত ছিল।
‘প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০’ এর বিধানাবলী বিচারিক আদালত, আপিল আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য। অথচ আগের আদালতগুলোর তিনটি রায় থেকে বোঝা যাচ্ছে না যে, বিচারকরা এই আইনের বিষয়ে আদৌ অবগত আছেন কিনা। যদি এই আইন প্রয়োগের বিষয়ে ধারণা থাকত, তাহলে রায়ের মধ্যে বলা থাকত কেন এই আইন প্রয়োগ করা সমীচীন নয় এবং যদি এই আইন সঠিকভাবে বিচারিক আদালতে প্রয়োগ করা হতো তাহলে এই ধরনের মামলা দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত আসত না- বলে রায়ে মন্তব্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এমন রায় দেন। রায়ের তথ্য ও রায়ের অনুলিপি মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিমকোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান।
রায়ে আদালত বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ৬২ ভাগের অধিক লোক গ্রামাঞ্চলে বাস করে। যেখানে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শহরের তুলনায় বেশি এবং তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া-বিবাদও বেশি হয়। এই মামলার ঘটনা শুরু হয়েছিল খুব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে। ১৯৮৬ সালের ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় আসামি আবদুল মতিনের সঙ্গে বাদী আহমদ আলীর ১০-১২ বছরের নাতি আবদুল বাকির কথা কাটাকাটি হয়। ওইদিনই সন্ধ্যায় এই ব্যাপারে সালিশ হয় এবং মতিনকে সালিশে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।