জুমবাংলা ডেস্ক : মেহেরপুরের গাংনীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাত্র একদিন আগে এক প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
সোমবার দুপুরে উপজেলার কাজিপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম মিতা খাতুন। কাজিপুর গ্রামের ৩৬ বছর বয়সী সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে মিতার বিয়ে হয় বলে জানান প্রতিবেশীরা।
তারা জানান, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে মিতার ঘর বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মিতাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন তারা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
সৌদি প্রবাসী রফিকুলের বোন সীমা খাতুন বলেন, আমি আর মিতা একসঙ্গে টিভি দেখছিলাম। কিছুক্ষণ পর দোতলা থেকে আসছে বলে মিতা চলে যান। দুই ঘণ্টা পরও না নামলে ডাকতে গিয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো তার লাশ।
প্রতিবেশীরা জানান, ভারতীয় এক মেয়ের সঙ্গে রফিকুলের প্রথম বিয়ে হয়। এরপর তাদের বিচ্ছেদ হয়। বছর দুয়েক আগে তিনি আরো দুটি বিয়ে করেন। কিন্তু এক সপ্তাহ না যেতেই তারাও চলে যান। এটি ছিল তার চতুর্থ বিয়ে।
মিতার নানি মর্জিনা খাতুন জানান, মিতার ১০ মাস বয়সে তার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাবা আর মেয়ের কোনো খবর নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছি। অভাবের সংসার আমার। তাই বিদেশি ছেলের সঙ্গে সুখে থাকবে বলে নাতনিকে বিয়ে দেই। কিন্তু নাতনি আমাদের ছেড়ে চলে গেল।
গাংনী থানার এসআই মো. বখতিয়ার জানান, লাশটি উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।