বিনোদন ডেস্ক : একটা সময় ছিল বলিউডে, কোনো প্রযোজক সি নেমা বানিয়ে ভালো ব্যবসা করতে চাইলে লতা মঙ্গেশকরকে ছাড়া ভাবতে পারতেন না। অথচ পর্দায় দ্যুতি ছড়ানো কোনো অভিনেত্রী তিনি নন!
একজন প্লেব্যাক সিঙ্গার লতা মঙ্গেশকরই ভারতের চলচ্চিত্রের অঙ্গন শাসন করেছেন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ; হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘নাইটিঙ্গেল’। টাকা-পয়সার প্রতি তার কোনো লোভ না থাকলেও, স্বকীয়তার জন্য তার ধন-সম্পদ দিনে দিনে পাহাড় হয়েছে।
সেই ১৩ বছর বয়স থেকে উপার্জন শুরু লতা মঙ্গেশকরের। মারাঠি সিনেমায় অভিনয় ও গান করেন। সেই বছরই হারান বাবাকে। তারপর থেকে পরিবারের ভরণ-পোষণের সমস্ত দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। ছোট তিন বোন হলেন উষা, মীনা আর আশা। আর ভাই হৃদয়নাথ।
হিন্দুস্তান টাইমন জানিয়েছে, প্রথমবার উপার্জন করেছিলেন ২৫ টাকা। বর্তমানে তিনি প্রায় ৩৭০ কোটির মালিক। সঙ্গে রয়েছে কিছু শৌখিন গাড়িও। গানের রয়্যালিটি থেকে মাসে ৪০ লাখ টাকার কাছাকাছি আয় করতেন সুর-সম্রাজ্ঞী। বছরে পেতেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। মূলতই সেগুলোই ছিল তার কাছে অমূল্য রতন।
দক্ষিণ মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় থাকতেন লতা। পেডার রোডে অবস্থিত প্রভাকুঞ্জ ভবনে থাকতেন লতা মঙ্গেশকর। যদিও কোটিপতি হয়েও তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। দিদির মতো, মায়ের মতো কাছে টেনে নিতে পারতেন সবাইকে।
শৌখিন গাড়ি কেনার শখ ছিল লতার। তার বাড়ি ‘প্রভুকুঞ্জে’র গ্যারাজে ছিল একসময় অনেক দামি দামি গাড়ি। বহু সাক্ষাৎকারে গাড়ির প্রতি নিজের ভালবাসাও ব্যক্ত করেছেন বহুবার। ক্যারিয়ারের শুরুতেই কিনেছিলেন একটি শেভরলে। যশ চোপড়া তাকে উপহার দিয়েছিল একটি মার্সেডিজ। তার একটি ক্রিসলার গাড়িও ছিল।
মুঝে ভুলা না পাওগে…..’। গানের মধ্যে দিয়েই চোখের জলে সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে শেষবিদায় জানানো হল মুম্বাইয়ে। লতা মঙ্গেশকরের ভাইপো আদিনাথ মঙ্গেশকর শেষকৃত্যের আচার পালন করলেন। তিনি লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের ছেলে। মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে আয়োজন করা হয়েছিল শেষকৃত্যের। রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে জানানো হয় শেষ বিদায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।