জুমবাংলা ডেস্ক : আগামী ৩ ও ৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ২২তম ঐতিহাসিক পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিল।
এ উপলক্ষে আজ বন্দর নগরীর চেরাগী মোড়স্থ সালমা ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বহুমূখী সেবামূলক সংস্থা আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দরসুল কোরআন মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির সচিব মাওলানা মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন দরসুল কোরআন মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক স ম হামেদ হোসাইন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ (একেএমবি) বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী জসিম উদ্দীন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, মাওলানা জাকের আহমদ সিদ্দিকী, মাওলানা এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, কফিল উদ্দীন রানা, এস এম আবু সাদেক ছিটু, ইঞ্জিনিয়ার রাসেদুল ইসলাম রাসেল, শহিদুল ইসলাম, মাসরুর রহমান, মোহাম্মদ ফোরকান, তারেক বিন আহমদ প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের চিরায়ত মাহফিল সংস্কৃতিতে দরসুল কোরআন মাহফিল এক অনন্য সংযোজন। এটি গতানুগতিকতার বলয় বহির্ভূত পূর্ণমাত্রার শরিয়াহ সম্মত এক ব্যতিক্রমি আয়োজন। পবিত্র কোরআনের মর্মবাণীর প্রচার, ইসলামী আদর্শের সম্প্রসারণ, বিশুদ্ধ আকীদা ও আদর্শের বিস্তৃতি ঘটানোর অভিপ্রায়ে প্রতি বছর এ সংস্থার উদ্যোগে ঐতিহাসিক দরসুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ মাহফিল পথভ্রষ্ট ও দিকভ্রান্ত মানুষের সঠিক পথ নির্দেশনা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে। গৌরবময় সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারকার মাহফিল ২২ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
মাহফিলের ১ম দিবস ৩ জানুয়ারি জুমাবার বিকেল ৩টা মহিলাদের জন্য পর্দা সহকারে মাহফিল শ্রবণ করার জন্য বরাবরের মতো ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের মেধা ও মননশীলতা বিকাশে ৪ জানুয়ারি সকাল ৮ টায় রয়েছে শিশু কিশোর সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অতঃপর বিকেল ২টা থেকে শুরু হবে মূল দরস।
এবারের মাহফিলে পবিত্র কোরআনের সূরা আম্বিয়ার উপর দরস পেশ করা হবে। এছাড়াও এ মাহফিলে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারগণ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।
এবার মাহফিলে বিপুল পরিমান লোক সমাগম হবে। ইতোমধ্যে মাহফিলের চুড়ান্ত প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। এ মাহফিলকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম জুড়েই ধর্মানুরাগী মানুষের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছাস ও উৎসবমূখরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতদোপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় অব্যাহত রয়েছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।
প্রস্ততি কমিটির পক্ষ থেকে এ মাহফিলকে সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য বিভিন্ন জনের সাথে যোগাযোগ, মতবিনিময় ইত্যাকার বিষয়াদি চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়। ১) কোরআন-সুন্নাহ’র চর্চা ও অনুশীলন না থাকার কারণে দেশে চুরি, ডাকাতি, খুনখারাবি, হানাহানি, অশ্লিলতা-বেহায়াপনা,ইভটিজিং ইত্যাদি অসামাজিক কার্যকলাপ বর্ধিষ্ণু। তাই এর প্রতিকার তথা মানুষের মধ্যে নৈতিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যথাযথ মর্যাদায় ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারে সরকারিভাবে পবিত্র কোরআন হাদিসের দরসের আয়োজন করা । ২) পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে সরকারি ভাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৩) পবিত্র কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম সহ বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা। ৪) রেডিও -টেলিভিশনসহ সকল গণমাধ্যমে পবিত্র কোরআন-হাদিস এর সঠিক চর্চার অধিকতর গুরুত্বারোপ করা। ৫) নাটক-সিনেমায় ব্যাঙ্গাত্মক চরিত্রে দাঁড়ি-টুপিসহ ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হয় এ জাতীয় চরিত্র বন্ধ করা। ৬) ইসলামী দিবসসমূহ পালনের ক্ষেত্রে সরকারসহ সকল রাজনৈতিক দলের অধিকতর সচেতনতার পরিচয় দেয়া। ৭) ইসলামী খোলসে অভিশপ্ত জঙ্গিবাদী অপশক্তির অবাঞ্চিত আস্ফালন, অপতৎপরতা বন্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা ইত্যাদি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।