জুমবাংলা ডেস্ক: কুষ্টিয়ায় দিনদুপুরে শিশুসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘাতক পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়।
রবিবার (১৪ জুন) দুপুরে শহরের কাস্টম মোড় আসমা খাতুন তার ৭ বছর বয়সী ছেলে রবিন ও শাকিল নামের এক যুবককে গুলি করে খুন করেন তিনি। ঘাতক এএসআই সৌমেন রায়ের গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলায়।
কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের মুখে নিহতরা হলেন, বরখাস্ত এএসআই সৌমেনের সাবেক স্ত্রী আসমা (২৫), তাদের ছেলে রবিন (৫) এবং শাকিল খান (২৮)।
সৌমেনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাবা অনেক বছর আগে মারা যান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সৌমেন মেজ। পুলিশের চাকরি পাওয়ার পর ২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। সেই পরিবারে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি ছেলে রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন বলেছেন, নিহত যুবক শাকিলের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত।
সৌমেনের শ্বশুর জানান, তার মেয়ের সঙ্গে সুখের সংসার ছিল সৌমেনের। তবে দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না তাদের।
সৌমেন রায়ের ভাই বলেছেন, পারিবারিকভাবে ২০০৫ সালে পাশের গ্রামে বিয়ে করেন সৌমেন। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি খুলনায় থাকেন। সেই স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সঙ্গে সৌমেনের বিয়ের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি আমরা খবরে দেখেই প্রথম জেনেছি। এমনকি বিষয়টি সে তার স্ত্রীকেও জানায়নি। আমরা সবাই আজ প্রথম জানলাম। আমাদের ধারণা, কুষ্টিয়ায় কর্মরত অবস্থায় হয়তো আসমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় সৌমেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।