গ্যাসের অনুসন্ধান নিয়ে সুসংবাদ রয়েছে। জামালপুরের মাদারগঞ্জে নতুন করে গ্যাসের অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। এবারে বেশ আশাবাদী মনে হচ্ছে বাপেক্সকে। এই গ্রুপ থেকে দশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রতিদিন পাওয়া সম্ভব হবে। যমুনা সার কারখানার গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য এ কূপ কাজে লাগানো হবে।
জামালপুরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল আরো ৪৪ বছর আগে। কিন্তু এতদিন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নানা জটিলতার কারণে এর আগে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে যে, দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে ও বেকারত্বের সমাধানে এটি কাজে আসবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা খুশি। এই কূপ খননের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এই খনিজ সম্পদ যুক্ত হবে। এই জন্য দেশ এগিয়ে যাবে। এই প্রত্যাশা রাখি। পাশাপাশি আমাদের এই এলাকায় যে যে লোক যে যে জায়গায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাদের সে সে জায়গায় সম্পৃক্ত করতে হবে।’
আরেক স্থানীয় বলেন, ‘আমাদের এখানে একটা গ্যাস কূপ খনন করা হয়েছে, উদ্বোধন করা হয়েছে। এ জন্য আমরা অনেক গর্বিত। আমরা আশা রাখি। আমাদের এখানে যারা আছে যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের চাকরির ব্যবস্থা করবে। সামনের আরও কার্যক্রমে আমরা সহযোগিতা করব বলে বিশ্বাস করি।’
এই প্রকল্পে গ্যাসের উপস্থিতির বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী বাপেক্স। আর এখানে গ্যাস পাওয়া গেলে যমুনার ওই পাড়েও গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার আশা পেট্রোবাংলা।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব বলেন, ‘প্রথমবার আমরা গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়ার পর ক্লোজ গ্রিড আরেকটা সার্ভে করেছি। ক্লোজ গ্রিড সার্ভে করাতে আমরা এখানে উপস্থিতি পেয়েছি। এটা মাটির নিচের যেহেতু বিষয়। আমরা এটা অ্যানালাইসিস করে যে ইনডিকেশনটি পেয়েছি। তার পরেই কিন্তু আমরা এখানে ড্রিলিং করি।’
তিন মাস মেয়াদী প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকা। আর তিন হাজার মিটার খননের পর ৪০০ বিসিএফ গ্যাস পাওয়া গেলে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন যুক্ত হবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।