আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডিতে এক দম্পতির বিরুদ্ধে ৪৫ কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ মামলার রায় দিয়েছেন একটি স্থানীয় আদালত। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দেশটির নিম্ন আদালত এ রায় ঘোষণা করে।
মামলার রায়ে থেকে জানা যায়, ওই দম্পতি কিশোরীদের অপহরণ করত। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই পুরুষ তাদের ওপর চালাত যৌন নির্যাতন। আবার তা ভিডিও করা হত। এসব কাজে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করত তারই স্ত্রী।
পাকিস্তানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাহাঙ্গির গোন্দাল এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া যুবকের নাম কাসিম জাহাঙ্গীর। এ রায়ে তাকে তিন বছর কারাদণ্ড এবং ২৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। তার স্ত্রী কিরান জাহাঙ্গীর যাবজ্জীবন করাদণ্ড এবং দশ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়।
তারা ৪৫ কিশোরীকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং অন্তত ১০ জনের আপত্তিকর ছবি তোলাসহ ভিডিও ধারণ করে বলে মামলায় প্রমাণিত হয়। ২০১৯ সালে দেশটির গরডন কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একজন বৃত্তি পাওয়া ছাত্রীকে এক নারী অপহরণ করে।
ভোক্তভোগী ওই ছাত্রী মামলার অভিযোগে বলেন, ওই নারী তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলে। পরে তাকে অজানা গন্তেব্যে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারী ওই নারীর স্বামী (যাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে) তাকে ধর্ষণ করে। এবং ঘটনার বিডিও ধারণ করা হয়। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হলে বেরিয়ে আসে তাদের পুরো অপকর্মের দৃশ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।