নাবীল অনুসূর্য: তখন তিনি স্কুলে পড়েন। একবার বাসায় একজন অতিথি এলেন। স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক। তাঁকে ছোট্ট একটা উপহার দিয়েছিলেন। কাগজে সুন্দর একটা নকশা এঁকে দিয়েছিলেন। সঙ্গে লিখেছিলেন তাঁর নাম। নকশারই মতো সুন্দর করে। সেটি ভীষণ মুগ্ধ করেছিল খোরশেদ আলমকে। বলেন, ‘তাঁর হাতের লেখা দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। যেন ছাপার হরফের চেয়েও সুন্দর! সেই থেকে আমার মধ্যে সুন্দর লেখার প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয়।’ পরে এই ভালোবাসাই তাঁর রুটি-রুজির উৎস হয়ে যায়। ১৯৭৩ সালে পাস করেন ম্যাট্রিকুলেশন। ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন রামগঞ্জ কলেজে। কিন্তু পরের বছরই ইতি টানতে হয় পড়াশোনার। সেবার ভয়ংকর বন্যা হয়েছিল দেশে। তিনি এক বাসায় লজিং থাকতেন। থাকতেন সেই বাড়ির কাছারিঘরে। বন্যায় সে ঘর ডুবে যায়। নিরুপায় হয়ে বাড়ি চলে আসেন। তাঁর বড় ভাই ঢাকায় রেলওয়েতে চাকরি করতেন। মা-ছেলে মিলে তাঁর কাছে চলে আসেন। এর মধ্যেই একদিন চোখে পড়ে বিজ্ঞপ্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হবে সনদ লেখক।
খোরশেদ আলম সেখানে যোগ দেন ১৯৭৪ সালের ২৯ জুন। সেই থেকে প্রায় পাঁচ দশক সে দায়িত্ব পালন করছেন। মুক্তার মতো সুন্দর করে লিখে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীদের সনদপত্র। তাঁর তিন মেয়েই পাস করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি নিজের হাতে তাঁদের সনদপত্র লিখেছেন। তবে চাকরিতে থেকে দেখে যেতে পারছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি। আজই শেষ হয়ে যাচ্ছে তাঁর আনুষ্ঠানিক কর্মজীবন। সূত্র : কালের কন্ঠ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।