বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো ৫জি নেটওয়ার্ক পরিষেবা। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন। এটি দেশের ডিজিটাল পরিকাঠামোয় একটি যুগান্তকারী মাইলফলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এটিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের দিকে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় এই পরিষেবা চালু হয়েছে। ধাপে ধাপে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
৫জি প্রযুক্তি কী পরিবর্তন আনবে?
৫জি প্রযুক্তি ইন্টারনেটের গতি বাড়াবে অভূতপূর্ব পর্যায়ে। এটি ৪জি নেটওয়ার্কের চেয়ে ১০ থেকে ১০০ গুণ দ্রুত গতি প্রদান করতে সক্ষম। একটি উচ্চ-রেজোলিউশনের মুভি ডাউনলোড করতে এখন কয়েক মিনিট সময় লাগবে, যা আগে অনেক সময় নিত।
এই প্রযুক্তি শিল্প, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনবে। দূরবর্তী অস্ত্রোপচার, স্মার্ট কারখানা এবং ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো বাস্তবায়ন সহজ হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দেশের অর্থনীতিকেও গতিশীল করবে।
৫জি সেবা পেতে ব্যবহারকারীদের কী করতে হবে?
৫জি নেট워র্ক ব্যবহার করতে ব্যবহারকারীদের একটি ৫জি-সক্ষম স্মার্টফোন কিনতে হবে। বর্তমানে বাজারে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের ৫জি ফোন পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবহারকারীদের তাদের মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে একটি ৫জি প্ল্যানও কিনতে হবে।
মোবাইল অপারেটররা ইতিমধ্যেই তাদের নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করা শুরু করেছে। গ্রাহকদের কাছে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রবি, গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। সরকার নিশ্চিত করেছে যে ৫জি প্রযুক্তি স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ হবে।
দেশের ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য ৫জি
৫জি প্রযুক্তি কেবল দ্রুত ইন্টারনেটই দেবে না, এটি ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এর বিস্তারেও ভূমিকা পালন করবে। স্মার্ট হোম, স্বয়ংচালিত গাড়ি এবং কানেক্টেড ডিভাইসগুলোর জন্য এটি একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করবে। এটি দেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, **৫জি নেটওয়ার্ক** বাংলাদেশকে গ্লোবাল ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের সাথে আরও দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত করবে। এটি তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
জেনে রাখুন-
Q1: ৫জি নেটওয়ার্ক কি সব এলাকায় পাওয়া যাবে?
না, প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র রাজধানীর কিছু এলাকায় চালু হয়েছে। পুরো দেশে ছড়াতে আরও সময় লাগবে।
Q2: ৫জি ব্যবহার করতে কি বেশি টাকা দিতে হবে?
হ্যাঁ, প্রাথমিকভাবে ৪জির চেয়ে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে, কিন্তু প্রতিযোগিতার ফলে দাম কমে আসার সম্ভাবনা আছে।
Q3: ৫জি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিটিআরসি নিশ্চিত করেছে যে নির্ধারিত সীমার内 ৫জি রেডিয়েশন নিরাপদ।
Q4: কোন অপারেটর প্রথম ৫জি চালু করল?
বিটিআরসি সরকারিভাবে পরিষেবাটির উদ্বোধন করেছেন, এবং সবকটি প্রধান অপারেটরই একসাথে এতে অংশ নিচ্ছে।
Q5: আমার বর্তমান ফোনে ৫জি কাজ করবে?
না, শুধুমাত্র ৫জি-সক্ষম স্মার্টফোনেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।