জুমবাংলা ডেস্ক: এ বছর খাগড়াছড়ি জেলার তিনটি উপজেলায় প্রায় ৫০ একর জমিতে কফি চাষ হয়েছে। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ৩০ জন চাষি কফি চাষ করেছে এ বছর। পার্বত্যাঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু কফি চাষে বেশ উপযোগী বলে দাবি করেছেন পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ। এতে বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এই প্রথম কফি চাষ সম্প্রসারণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পদ্ধতিগতভাবে কাজ শুরু করেছে। গবেষণায় কফি রোবাস্তা ও কফি এরাবিয়া এ দুই জাতের কফি চাষে পাহাড়ের ঢালু ভূমি, তাপমাত্রা ও জলবায়ু উপযোগী হওয়ায় কফি চাষে ব্যাপক সাফল্যের সম্ভাবনা দেখছেন।
এ বছর খাগড়াছড়ি জেলার তিনটি উপজেলায় প্রায় ৫০ একর জমিতে কফি চাষ হয়েছে। যদিও কৃষকদের কাছে এ চাষ পদ্ধতি নতুন। কৃষি গবেষণার পৃষ্ঠপোষকতায় চাষে খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় দিনদিন কফি চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই অনাবাদি পাহাড় পরিষ্কার করে কফি চাষ শুরু করেছেন। কিছু কৃষক কফি চাষ করে এরইমধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করেছেন। একটি গাছ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি কফির ফলন পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। অনেকে জুম চাষের সাথে সাথী ফসল হিসেবে কফি চাষ করছেন।
কৃষাণী উমা মারমা জানান, গত ২ মাস হয়েছে আমি কফি চারা লাগিয়েছি। কৃষি গবেষণার সহযোগিতায় আমরা কফি চাষ শুরু করেছি। বর্তমানে চারা অনেক বড় হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে ভালো ফলন পাব। পাহাড়ে কফি চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র আগ্রহী কৃষকদের সাথে নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক র্কমর্কতা ড. আলতাফ হোসেন জানান, পাহাড়ে কৃষকদেরকে কফি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে এ চাষ কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করবে।
কৃত্তিম কোন কিছু ছাড়াই জৈব সার ব্যবহারে শিমের বাম্পার ফলন, খুশি চাষিরা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।