জুমবাংলা ডেস্ক : জলডুবি আনারস আকারে ছোট হলেও স্বাদে বেশ মিষ্টি। পাকলে হলুদ ও লালচে রং ধারণ করে। কম সময়ের মধ্যে ফলন আসে, হয়ও অনেক বেশি। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার লাল মাটির পাহাড়ি অঞ্চলে একসময় ‘ক্যালেঙ্গা’ ও ‘হানি কুইন’ জাতের আনারস আবাদ হয়েছে।
সময়, জমি ও খরচ কম লাগায় এখন জলডুবি আনারস চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে চাহিদাও অনেক বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র বলছে, উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষাবাদ হয়েছে। ২৫০ হেক্টর জমিতে জলডুবি, ৩৯০ হেক্টর জমিতে ক্যালেঙ্গা এবং ১০ হেক্টর জমিতে হানি কুইন জাতের আনারসের আবাদ হয়েছে।
গত বছরের চেয়ে এ বছর জলডুবি আনারসের আবাদ বেড়েছে ১৯০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে উপজেলা থেকে অন্তত দুই কোটি জলডুবি আনারস বিক্রি হবে। গড়ে প্রতিটি ২৫ টাকা করে বিক্রি হলেও ৫০ কোটি টাকার জলডুবি আনারস বিক্রি করবেন চাষিরা। এ নিযে সংবাদ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ।
জানা গেছে, গত মৌসুমে উপজেলায় জলডুবি আনারস মাত্র ৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল, চলতি মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
প্রতি হেক্টর জমিতে জলডুবি আনারসের চারা লাগানো যায় ৮০ হাজার। একই পরিমাপের জমিতে ক্যালেঙ্গা ও হানি কুইন আনারসের চারা রোপণ করা যায় ৩৬ হাজার। চারা রোপণ থেকে শুরু করে জলডুবি আনারস বিক্রি পর্যন্ত সময় লাগে সর্বোচ্চ এক বছর। ক্যালেঙ্গা ও হানি কুইন আনারসে লাগে দেড় বছর। জলডুবি আনারসে খরচ কম, লাভ বেশি হওয়ায় ক্যালেঙ্গা ও হনি কুইন জাতের আনারস চাষাবাদ থেকে দিন দিন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে সন্তোষপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে সবুজ বনায়ন। ভেতরেই শত শত হেক্টর আনারসবাগান। কৃষক জলডুবি, ক্যালেঙ্গা ও হানি কুইন প্রজাতির আনারস আবাদ করেছেন। প্রতিটি গাছের মাথায় আনারস রয়েছে। আকারে প্রায় সব একই রকম। সবুজ গাছে গাঢ় সবুজ ও লালচে রঙের ফল দেখতে অনেক সুন্দর। শেষ মুহূর্তে জলডুবি আনারস পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। সামনে রমজান মাসে পুরোদমে বিক্রি হবে এই আনারস।
এক একর জমিতে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার জলডুবি আনারসের চারা লাগানো যায়। ঠিকমতো পরিচর্যা করলে কমপক্ষে ২৩ হাজার থেকে ২৮ হাজার গাছে ফল আসে। প্রতিটি ফলের ওজন ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম হয়। ক্ষেত্রবিশেষে আরো বড় হয়। ফল বিক্রি করার পর প্রতিটি গাছ থেকে চার-পাঁচটি চারা বিক্রি করা যায়। প্রতিটি চারা দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন চাষিরা।
কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক তালুকদার ও ফাহাদ তালুকদার বলেন, সাড়ে চার একর জমিতে এক লাখ ৩০ হাজার জলডুবি আনারসের চারা লাগিয়েছি। কমপক্ষে এক লাখ ২৮ হাজার গাছে ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাগানে প্রতিটি ফল ২২ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত দাম বলছেন পাইকাররা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।