জুমবাংলা ডেস্ক: মাদকদ্রব্য এবং বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দুই মামলায় জামিন পেলেনে পুরান ঢাকার দাপুটে সংসদ সদস্য (আসন-৭) হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। তবে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকা ও সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেয়ার শর্তেই তাকে জামিন দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়ে তা মঞ্জুর করা হয় বলে জানা গেছে। ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রাণনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ইরফান সেলিমকে। ওইদিন মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় আরও ১ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই ২ মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।’
এর আগে গতকাল সোমবার (৪ জানুয়ারি) আদালতে রাজধানীর চকবাজার থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ। ইরফানের অস্ত্র ও মাদক এই দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার ফাইনাল রিপোর্ট আদালতে পাঠিয়েছি। এছাড়া তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এখনও প্রতিবেদন জমা পড়েনি।’
গত ২৭ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে ২টি করে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করে র্যাব। এসব মামলায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
মামলার বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিয়োগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে সেখান থেকে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ২টি অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, একটি এয়ারগান ও বেশ কিছু বিদেশি মদ ও ইয়াবা রয়েছে। এছাড়াও ৩৮টি ওয়াকিটকি সেট ও ৩টি ভিএইচএফ (ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি) ওয়াকিটকি বেজ স্টেশন জব্দ করা হয়।
অভিযানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে মাদক সেবন ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮ মাসের সাজা দিয়েছেন। এছাড়াও ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকে বেআইনি ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আশিক বিল্লাহ আরও বলেন, ইরফানের বাসা থেকে জব্দ হওয়া ২টি বিদেশি পিস্তল ও মাদকদ্রব্যের বিষয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় র্যাব বাদী হয়ে সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে ২টি করে মোট ৪টি মামলা দায়ের করে।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। এরপরই অভিযান শুরু হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।